মুসলিম সংস্কৃতির একটি বড় উৎসব হল ঈদ। ঈদকে কেন্দ্র করে কবি-সাহিত্যিক, লেখকদের ব্যস্ত সময় কাটে। সত্যি বলতে এমন কোন মুসলিম কবি-সাহিত্যিক কিংবা লেখককে হয়তো পাওয়া যাবে না যিনি ঈদ নিয়ে কোন লেখা লিখেননি। এক্ষেত্রে বাংলা ভাষাভাষী কবি-সাহিত্যিকরাও পিছিয়ে নেই।
গানে, সুরে, ছন্দে নজরুল ইসলাম ঈদকে সর্বাধিক
সমৃদ্ধ করেছেন। নজরুল ইসলাম রচিত ঈদের গানটি হলো- ‘ও
মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদফ / তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।’ নজরুল ইসলামের ঈদের এ আগমনি বারতা চিরন্তন
রূপমাধুর্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে বাংলা সাহিত্যে ও এ দেশের মনমানসে।
যতটুকু জানা যায়, বিশ শতকের গোড়ার দিকে
বাংলা কবিতায় ঈদ নিয়ে লেখালেখি শুরু হয়। সৈয়দ এমদাদ আলীর ‘ঈদ’
কবিতাটিই সম্ভবত বাংলাভাষায় রচিত প্রথম ঈদ-বিষয়ক কবিতা। ১৯০৪ সালে তাঁরই সম্পাদনায়
প্রকাশিত মাসিক নবনূর পত্রিকার ঈদ সংখ্যায় কবিতাটি ছাপা হয়। ‘কুহেলী তিমির সরায়ে দূরে / তরুণ অরুণ উঠিছে
ধীরে / রাঙিয়ে প্রাত তরুণ শিরে’।
আর এ পত্রিকায় কবি কায়কোবাদ, বেগম রোকেয়া ও সম্পাদক স্বয়ং এ তিনজন ঈদসংক্রান্ত কবিতা
ও প্রবন্ধ লেখেন ১৯০৩ সালে।
কবি কায়কোবাদের ঈদ বিষয়ক কবিতায় : ‘এই ঈদ বিধাতার কি যে শুভ উদ্দেশ্য মহান/
হয় সিদ্ধ, বোঝে না তা স্বার্থপর মানব সন্তান’।
কবি গোলাম মোস্তফার ‘ঈদ উৎসব’ নামক একটি গীতিময় কবিতা মাসিক ‘সওগাত’-এর
ভাদ্র ১৩২৬ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় : ‘আজই
সকল ধরা মাঝে বিরাট মানবতা / মূরতি লভিয়াছে হর্ষে। আজিকে প্রাণে প্রাণে যে ভাব
জাগিয়েছে, রাখতে হবে সারা বর্ষে’।
প্রাচীন থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত বাংলা
সাহিত্যের কবি-সাহিত্যিকরা ঈদ বিষয়ক রচনায় স্ব-স্ব প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাদের
সব ধরনের রচনার মধ্য দিয়ে মুসলিম মন ও মানসের স্বাভাবিক আশা- আকাঙ্খাই ব্যক্ত হয়েছে।
মুসলমানদের জন্য প্রধান দু’টি ঈদ উৎসব বা আনন্দের দিন হলো ঈদুল ফিতর
ও ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদ। এ দু’টি
দিনই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্ববহ। দুটি ঈদ নিয়েই আমাদের অগ্রজ পথিকৃৎ কবি,
সাহিত্যিকরা উপন্যাস, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, ছড়া, কবিতা ও গান লিখেছেন। বাংলা সাহিত্যের
গদ্যে বা প্রবন্ধে যত না কুরবানি প্রসঙ্গ প্রাণবন্ত হয়েছে তার চেয়ে অধিক প্রাণবন্ত
হয়েছে কবিতায়। প্রথিতযশা বহু কবিই কুরবানি নিয়ে কবিতা লিখেছেন। তাদের লেখায় ত্যাগের
মহিমার সঙ্গে যোগ হয়েছে বিপ্লবী চিন্তা ও আত্মদানের প্রসঙ্গটি।
বাংলাদেশে মুসলিম শাসনের প্রতিষ্ঠার অনেক
আগেই আরব বণিকদের যাতায়াত ছিল। হয়তোবা তাদের মাধ্যমেই এদেশবাসী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রচারিত ইসলাম ধর্ম সম্বন্ধে অবগত হন। এর পরের ইতিহাসে আমরা জানতে
পারি অলি-আউলিয়া, পীর-মুরশিদের মাধ্যমেই এদেশে ইসলাম প্রচার হতে থাকে। যারা ইসলাম গ্রহণ
করেন তারা অধিকাংশই ছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী, বিশেষ করে নিম্নবর্ণের হিন্দু।
সমাজে তাদের প্রতিপত্তি কমই ছিল। যখন তারা
ইসলাম ধর্মের পাঁচ রুকনে বিশ্বাস স্থাপন করে ইসলামী উৎসবাদি পালন করতে থাকে তখন যে
উৎসবটি নিয়ে স্থানীয় হিন্দুদের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয় তা হলো কুরবানির ঈদ।
শোনা যায় সিলেটে রাজা গৌরগোবিন্দের শাসন
আমলে কুরবানি নিষিদ্ধ করা হয়। যেহেতু মনে করা হয় গো দেবতা, তাই গো হত্যা নিষিদ্ধ। কুরবানিকে
তারা গো হত্যা মনে করত। অথচ ইসলামে কুরবানি গো হত্যা নয়-এটি মহান আত্মত্যাগের নিদর্শন
যা আল্লাহর আদেশে নবী ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তার প্রিয়তম পুত্র ইসমাইল আলাইহিস সালামকে
আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কুরবানি করতে গিয়েছিলেন।
আল্লাহর আদেশ পালনের এবং তার নৈকট্য লাভের
বিরল সুযোগ বা সৌভাগ্য অর্জনের আশায় মুসলমানরা কুরবানির ঈদ উৎসব পালন করে। বাংলা সাহিত্যের
আদি যুগে বা প্রারম্ভিক অবস্থায় এ উৎসব সম্বন্ধে কিছুই পাওয়া যায় না। মধ্যযুগে মুকুন্দরাম
চক্রবর্তী মুসলিম সমাজের একটি নিখুঁত বর্ণনা উপস্থাপন করলেও সেখানে কোরবানির উল্লেখ
নেই। তবে মধ্যযুগেই মুসলমানরা বাঙালি হয়ে উঠেছিলো এবং তাদের মাতৃভাষা হয়ে উঠেছিলো বাংলা।
বাঙালি মুসলমান সাহিত্য চর্চায়ও লিপ্ত ছিলেন। কিন্তু শাহ মুহম্মদ সগীর থেকে খোন্দকার
শামসুদ্দিন মুহম্মদ সিদ্দিকী বা মীর মশাররফ হোসেনের আবির্ভাবের আগে পর্যন্ত মধ্যযুগের
মুসলিম রচিত যে-সাহিত্য, তাতে রোমান্স, কল্পকথা, ইসলামী পুরাণ, লোকপুরাণ, ইসলামের ইতিহাস,
আরবি-ফারসি-হিন্দি কাব্যগ্রন্থের তর্জমা বা ভাবানুসরণই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। লোকাচার,
জীবনাচার, ধর্মাচার অর্থাৎ বাঙালি-মুসলমানদের প্রাত্যহ-আচরিত জীবন তারও খুব একটা প্রশ্রয়
পায়নি।
ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মুসলমানদের উৎসবাদি
সম্বন্ধে সামান্য যা লেখা হয়েছে তা কারবালার বিষাদময় ঘটনা নিয়ে। পঞ্চদশ শতাব্দীতে সৈয়দ
সুলতানের ‘নবীবংশ’-এ হজরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তার পুত্র
ইসমাইল আলাইহিস সালামের উল্লেখ লক্ষ্য করা যায়।
কুরবানি নিয়ে হিন্দু-মুসলমানের বাকবিতণ্ডা
দীর্ঘদিনের। বলতে গেলে এ বিতণ্ডা চলে আসছিল শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। গরু কুরবানি কিছুতেই
সহ্য করতে পারেনি হিন্দুসমাজ, এ জন্য দুপক্ষের কেউই বসে ছিল না-তর্ক-বিতর্ক এবং সেই
সঙ্গে এ বিষয়ে চলেছে লিখিত বক্তব্য।
উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে এসে কোরবানি
সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে অবস্থান করে এবং এর পক্ষে ও বিপক্ষে কবিতা রচিত হয়।
মুসলমান লেখক মীর মোশাররফ হোসেন লিখে বসেন ‘গোজীবন’। এতে মুসলমান সমাজ ক্ষোভে ফেটে পড়ে।
ক্ষোভটা কতখানি তীব্র ছিল তা উপলব্ধি করা
যায় পন্ডিত রেয়াজ উদ্দীন আহমদ মাশহাদীর লেখা ‘অগ্নি
কুক্কুট’ গ্রন্থ পাঠে।
কুরবানি যেন তেন ব্যাপার নয়, বরং সুকঠিন
ইবাদাত। মুসলমানদের ঈদুল আজহায় যে কুরবানি তার মধ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ ছাড়াও থাকে
আল্লাহর নৈকট্য লাভের বাসনা।
বাংলা সাহিত্যে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়,
মুসলিম পুণর্জাগরণের কবি ইসমাইল হোসেন সিরাজী কুরবানিকে দেখেছেন আত্মকোরবানির প্রতীক
হিসেবে।
ব্রিটিশ শাসনের নাগপাশ থেকে মুক্ত হওয়ার
জন্য তিনি জাতিকে আহ্বান জানালেন জান কোরবানের শপথ নিতে। ‘গো মেষ ছাগ করিলে কোরবানি / পোহাবে না কভু
এ দুঃখ রজনী / বিধি যে তোদের শক্ত / চাহে যে তোদের রক্ত / চাহে লক্ষ্ প্রাণ লক্ষ বলিদান / তবে
পাবি স্বাধীনতা সুচির কল্যাণ।’
কবি হাসান হাফিজ ‘ঈদের শিক্ষা’ নামক কবিতায় লেখেন : নিজের মনের হিংসাকে
দাও কুরবানি/ঈদের শিক্ষা তাই/দরকার এই মর্মকথার গভীর জানাজানি’।
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে
প্রবেশ করেছেন বিদ্রোহের বাণী নিয়ে- তার কুরবানি- বিষয়ক রচনাসমূহও এই বোধের বাইরে নয়।
কবিতায়, গানে, প্রবন্ধে, নাটকে, অভিভাষণে, চিঠিপত্রে নজরুল এনেছেন ঈদ প্রসঙ্গ। ঈদুল
আজহাকে বিভিন্ন নামে উল্লেখ করে এর মাহাত্ম তুলে ধরতে হয়েছেন আন্তরিক। কখনও উল্লেখ
করেছেন- কোরবানির ঈদ- শহীদ ঈদ, দুসরা ঈদ, বকরীদ, ছোট ঈদ, ঈদ-উল কুরবান।
নজরুল লিখেছেন-
ঈদজ্জোহার চাঁদ হাসে ঐ / এল আবার দুসরা ঈদ /
কোরবানী দে কোরবানী দে / শোন খোদার ফরমান তাকীদ’।
ঈদ ও ঈদের আনন্দকে ধরে রাখতে কবি সাহিত্যিকরা
চেষ্টা চালিয়ে গেছেন যুগে যুগে। কারো গানে, কারো কবিতায় অথবা কারো কারো ছড়ায় আমরা ঈদের
বা ঈদ আনন্দের বিস্তর বর্ণনা খুঁজে পাই। বাংলা সাহিত্যের কঠিনতম অংশ নিয়ে নাড়াচাড়া
করে থাকেন ছড়াসাহিত্যিকরা। সেই ছড়াসাহিত্যেও রয়েছে ঈদ বিষয়ক অনেক রচনা। প্রবীণের পথ
ধরে নবীনেরাও পিছিয়ে নেই এসব রচনায়। সাহিত্যের এ কঠিনতম অধ্যায় ছড়ার মাধ্যমে খুব সহজভাবে
ফুটিয়ে তুলেছেন ঈদের নানা কর্মকা-।
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এসলামাবাদী (১৮৭৫-১৯৫০)
‘ঈদুল আজহা’ প্রবন্ধে কোরবানির প্রসঙ্গে কয়েকটি যুক্তি
দেখিয়েছিলেন: কুরবানির দ্বারা একেক দীনদরিদ্র লোকেরা প্রীতিকর ও তৃপ্তিকর ভোজ পায়,
পশুচর্ম দ্বারা তাহাদের অন্নবস্ত্রের অভাব আংশিকরূপে দূর হয়, একসঙ্গে হাজার হাজার লক্ষ
লক্ষ পশুবধে তাহার রক্ত, হাড়, উদরস্থ গোবর ইত্যাদি সাররূপে জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি
করে। এ জন্য কুরবানির পশুকে মাঠে লইয়া গিয়া জবেহ করার আদেশ দেওয়া হইয়াছে।... পশু পোষণ
যাহাদের জীবনের প্রধান সম্বল তাহারা সারা বৎসরের মধ্যে এই পর্বোপলক্ষে পশু বিক্রি
করিয়া নিজ নিজ সংসার জীবনের নানাপ্রকার অভাব অভিযোগ তদ্দারা মিটাইয়া থাকে। [আল এসলাম’, ভাদ্র ১৩২৩]
‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকায় ‘খাজা’
নামধারী ছদ্মনামা ‘ঈদজ্জোহা’ প্রবন্ধে লিখছেন: আজ ঈদুজ্জোহা- আজ মুসলমানের
কোরবানির-উৎসবের বিসর্জনের দিন, অথচ আজই আবার প্রকৃত ঈদের আনন্দ-উৎসবের দিন। ত্যাগেই
সুখ-ভোগে নহে, বিসর্জনেই প্রতিষ্ঠা, উৎসর্গেই সাফল্য, নিবেদনেই আনন্দ। মুসলমানকে জীবনের
পদে পদে এমনই করিয়া কোরবানি করিতে হইবে, এমনই করিয়া আল্লার নামে আপনাকে বিলাইয়া দিয়া
ত্যাগের মধ্যে আনন্দ, মৃত্যুর মধ্যে জীবন খুঁজিয়া লইতে হইবে। [‘মোসলেম ভারত’, শ্রাবণ ১৩২৭]
কয়েকশ বছর ধরে বাঙালি-মুসলমান ঈদ উদযাপন
করলেও মাত্র এই শতাব্দীর শুরু থেকে ঈদ সম্পৃক্ত সত্যিকার সাহিত্য রচনা শুরু হয়েছে।
কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের দুই ঈদ তথা ধর্মীয় উপাচারগুলিকে অসাধারণ সৌন্দর্য ও তাৎপর্যে
ম-িত করে এক যুগান্তর সৃষ্টি করেছিলেন। দেশ বিভাগের পরে ঢাকা যখন বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয়
রাজধানী হয়ে উঠে, তখন স্বাভাবিকভাবে অন্যান্য অনেক কিছুর মতো ঈদ-উদযাপনে সাহিত্যিক-সাংস্কৃতিক
তাৎপর্যও গরিয়ান ও বলীয়ান হয়ে ওঠে। ঈদ বিষয়ক কবিতা ও গদ্য রচনা পত্র-পত্রিকার ঈদ সংখ্যায়
প্রকাশ।
স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের
পর পত্র-পত্রিকার পৃষ্ঠপোষকতায় ঈদ-সংখ্যার প্রকাশ তাকে আরো একটু গতি দেয়। ঈদের কবিতা-গান-কথাসাহিত্য
আমাদের ধর্মীয় আনন্দের সঙ্গে সাংস্কৃতিক আনন্দকে একটু একটু করে মিশিয়ে তুলেছে। এই শতাব্দীর
সূচনায় যার সুত্রপাত হয়েছিলো, শতাব্দীর শেষে এসে দেখতে পাচ্ছি তার পরিণত রূপ। আমাদের
গৃহ ও সাহিত্যকে খানিকটা হলেও আনন্দময় করে তুলেছে।
প্রাচীন থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত বাংলা
সাহিত্যের কবি সাহিত্যিকরা ঈদ বিষয়ক রচনায় স্ব স্ব প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাদের
সব ধরনের রচনার মধ্য দিয়ে মুসলিম মন ও মানসের স্বাভাবিক আশা আকাঙ্খাই ব্যক্ত হয়েছে।
আলী আহসান, সৈয়দ সামছুল হক, আল মাহমুদ, আহসান হাবীব, আবু জাফর ওবায়দুল্লা, আবুল হাসান,
আব্দুল কাদির, শাহাদাৎ হোসেন, জসিম উদ্দিন, বন্দে আলী মিয়া, আব্দুল মান্নান সৈয়দ, মতিউর
রহমান মল্লিক প্রমুখ কবি সাহিত্যিকরা তাদের রচনায় ঈদকে নানাভাবে দেখেছেন। এখনও নতুন
প্রজন্মের কবি-সাহিত্যিকরা ঈদকে নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তা করেন।
মন্তব্য করুন