বাংলাদেশের স্বাধীনতা
আর বিজয়ের পঞ্চাশ বছরের সুবর্ণ জয়ন্তী আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাজ্যের বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতি (গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশান
- ইউকে) এক বিশাল কর্মযজ্ঞ সুসম্পাদন করেছে। বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির ইতিহাসে দুটি
প্রধান মাইলফলককে স্মরণীয় করে রাখার জন্যে সংগঠনটি ‘স্বর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ’ (বাংলাদেশ) নামের প্রায় সাড়ে পাঁচশ
পৃষ্ঠার একটি সৃবৃহৎ স্মরণিকা প্রকাশ করেছে।
স্মরণিকাটির নাম ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও চট্টগ্রাম’ অথবা ‘চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ গোছের কিছু হলেও পারতো। কারণ চট্টগ্রাম
সমিতির এ স্মরণিকায় মূলত স্মরণ করা হয়েছে চট্টগ্রাম. চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ ও দলটির
নেতাদের সাথে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক, তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ও সংগ্রামী জীবনে চট্টগ্রামে
তাঁর নানা আন্দোলন কর্মকাণ্ড, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের ভূমিকা ও অবদান
এবং চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের।
স্মরণিকাটিতে মূল্যবান বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,
পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ. কে. আবদুল মোমেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক
মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী
ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি,
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের
চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ, যুক্তরাজ্যের এমপি রুশানারা আলি, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত
বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম প্রমুখ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ. কে. আবদুল মোমেন এ স্মরণিকা প্রকাশে
তাঁর আনন্দ ব্যক্ত করে দেয়া বাণীতে বলেছেন, “... আমি আরো আনন্দিত যে, এই স্মরণিকায় মহান মুক্তিযুদ্ধে
চট্টগ্রামবাসীর ত্যাগের ইতিহাস, বীর শহিদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কথা তুলে ধরা হবে, যা আগ্রামী
প্রজন্মের জন্য একটা প্রামাণ্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আমি মনে করি।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন: “মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামবাসীর ত্যাগ
চিরউজ্জ্বল। আমি বিশ্বাস করি, চট্টগ্রামবাসীর ত্যাগের ইতিহাস যুগে যুগে এই বইয়ের মাধ্যমে
সংরক্ষিত হবে।”
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক তাঁর বাণীতে
বলেছেন, ... এই বিশেষ প্রকাশনা গ্রেটার চট্টগ্রাম
এসোসিয়েশানের জন্য একটি গৌরবময় মাইলফলক হয়ে থাকবে।”
অন্যেরাও তাঁদের নিজ নিজ বাণীতে অনুরূপ আশা ও বিশ্বাস প্রকাশ
করেছেন, এবং আমরাও তাঁদের এ বক্তব্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন
আসলেই একটা বিরাট কাজই করেননি, বলতে গেলে একটা অসাধ্য সাধন করেছেন। সুদূর লন্ডনে বসে
সমস্ত লেখা যোগাড় করে চট্টগ্রাম থেকে এত বড় একটা বই বের করা চাট্টিখানি কথা নয়। স্মরণিকাটির
সম্পাদক তথা গ্রেটার চট্টগ্রাম-ইউকে’র কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী ও তাঁর
সহযোগীরা সেই দুরূহ কর্ম সফলভাবেই সমাধা করেছেন।
বহু ঐতিহাসিক দলিলতুল্য ছবি আর লেখায় সুসমৃদ্ধ এই মহাগ্রন্থ
নিবিড়ভাবে সম্পূর্ণ পাঠ করে একটা পর্যালোচনা করা সহজ কথা নয়। এর জন্যে বেশ খানিকটা
সময়ের প্রয়োজন। আমি শুধু বিহঙ্গদৃষ্টিতে কিছুটা চোখ বুলিয়ে যতটুকু বুঝেছি, সে-ব্যাপারে
দু-একটা কথা বলতে চাই। তবে এ ব্যাপারে আগামীতে আরো বিস্তারিত বলার ইচ্ছে রইলো।
ইংরেজি-বাংলা দ্বিভাষিক এই স্মরণিকাটিকে ভাগ করা হয়েছে ছোট-বড়
পাঁচটি পর্বে। এর মধ্যে ‘ইউকে কন্ট্রিবিউশান টুওয়ার্ডস লিবারেশান
ওয়ার ১৯৭১’ শীর্ষক প্রথম পর্বটিতে রাখা হয়েছে
ইংরেজিতে লেখা নিবন্ধগুলো, যেগুলোর বিষয়বস্তু হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যুক্তরাজ্যের
বহুমুখী অবদান। এ পর্বের লেখকদের মধ্যে আছেন চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড.
কাজি এস. এম. খসরুল আলম চৌধুরী, ড. আবদুল হাকিম, গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশনের ট্রাস্টি
মোহাম্মদ আলি রেজা প্রমুখ। যুক্তরাজ্য প্রবাসী চট্টগ্রামীদের দ্বিতীয় প্রজন্মের কিশোর-তরুণ
সদস্যরাও এখানে লিখেছেন।
দ্বিতীয় পর্বের শিরোনাম ‘বঙ্গবন্ধু ও চট্টগ্রাম’, এবং শিরোনাম দেখেই নিশ্চয় এ পর্বের
বিষয়বস্তু আঁচ করা যায়। হ্যাঁ, এ পর্বে চৌদ্দটি নিবন্ধে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে চট্টগ্রাম
ও চট্টগ্রামীদের নিবিড়ি গভীর সম্পর্কের ওপর বিশদ আলোকপাত করেছেন লেখকরা। রাজনীতিবিদ
তথা ব্যক্তিমানুষ হিসেবে জাতির জনককে পুরোপুরি বুঝতে আর মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে স্মরণিকার
এ পর্বের লেখাগুলো অত্যন্ত মূল্যবান হবে বলেই মনে করি। কারণ চট্টগ্রাম, চট্টগ্রামের
আওয়ামী লীগ তথা আপামর চট্টগ্রামবাসী বঙ্গবন্ধুর বহু যুগান্তকারী রাজনৈতিক পদক্ষেপ এবং
বাংলাদেশের পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জনের পথে তাঁর সংগ্রামী অগ্রযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র
ও সহযাত্রী ছিলো, ইতিহাস এমনটাই বলে।
এ পর্বের লেখকদের মধ্যে আছেন চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের
দুই প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর আবদুল মান্নান ও ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, প্রফেসর
হান্নানা বেগম, সাবেক সংসদ সাবিহা মুসা, বিশিষ্ট সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, মুহাম্মদ
শামসুল হক, প্রদীপ দেওয়ানজী, কামরুল হাসান বাদল,
মো. ইসহাক চৌধুরী এবং আরো অনেকে। প্রতিটি লেখাই মূল্যবান এবং জানা-অজানা অসংখ্য
তথ্যে ও মূল্যায়নে ভরপুর।
এর মধ্যে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক নাসিরুদ্দিন
চৌধুরী একাই এ পর্বে দুটো মূল্যবান সত্যান্বেষী নিবন্ধ লিখেছেন। প্রথমটির সুদীর্ঘ শিরোনাম:
‘পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করার
জন্য বঙ্গবন্ধুর সশস্ত্র বিপ্লবের পরিকল্পনা সহযোগী চট্টগ্রামের মানিক চৌধুরী, ডা.
ছৈয়দ ও বিধান সেন’। লেখকের অনুমতি নিয়ে নামটি সম্পাদনা
করে হয়তো ছোট করা যেতো, এবং সেটাই সুবিধাজনক হতো। তবে এই দীর্ঘ শিরোনাম থেকে আমরা বুঝতে
পারি যে, এ নিবন্ধে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের একটি অপেক্ষাকৃত অনালোচিত
বা স্বল্পালোচিত অধ্যায়ে আলো ফেলা হয়েছে। নাসির সাহেবের দ্বিতীয় নিবন্ধটির শিরোনাম
‘বঙ্গবন্ধুর চট্টগ্রামের বন্ধুরা’, যেখানে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট, অকিঘনিষ্ট
জানা-অজানা চাটগাঁইয়া দলীয় নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত অনেকের খোঁজখবর
পাওয়া যায়। এগুলো ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সন্দেহ নেই।
বইটির তৃতীয় পর্বের শিরোনাম: ‘মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম’। এ পবেৃ রাখা হয়েছে প্রয়াত প্রথিতযশা
সাংবাদিক-কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী, প্রিমিয়ার বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য, বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন, চচট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের
মেয়র, মুক্তিযোদ্ধা এম. রেজাউল করিম চৌধুরী, সাংবাদিক-গবেষক জামাল উদ্দিন, সাংবাদিক-কবি
নাজিমউদ্দিন শ্যামল, গবেষক ও কবি শামসুর আরেফিন, অধ্যাপিকা কাঞ্চনা চক্রবর্তী প্রমুখের
লেখা।
এ স্মরণিকায় দীর্ঘতম চতুর্থ পর্বের শিরোনাম ‘স্বাধীনতা এবং বীর চট্টলার সূর্যসন্তান’। এ পর্বে অন্তর্ভুক্ত প্রায় অর্ধশত
নিবন্ধের লেখক তালিকা এ লেখার কলেবর বাড়িয়ে তুলবে বলে তা থেকে বিরত রইলাম। মাস্টারদা
সূর্য সেনের মতো ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসন বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী থেকে বাংলাদেশের
মুক্তিযুদ্ধর কনিষ্ঠতম শহিদদের অন্যতম সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী পর্যন্ত চট্টগ্রামের
বহু সূর্যসন্তানের স্মৃতিচারণ করা হয়েছে এই পর্বটিতে। মুক্তিযুদ্ধ গবেষক নাসিরুদ্দিন
চৌধুরী এ পর্বে আরো একটি নিবন্ধে সাইফুদ্দিন খালেদের কথা বলেছেন।
স্মরণিকাটিতে ‘কবিতাঞ্জলি’ শীর্ষক ক্ষুদ্রতম পর্বটিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও
স্বাধীনতার স্মরক কয়েকটি কবিতা।
জিসিএ-ইউকের কার্যকরী কমিটির বর্তমান সভাপতি ও ‘স্বর্ণজয়ন্তী বাংলাদেশ’-এর সম্পাদক মো. ইসহাক চৌধুরীরও
আরো একটি নিবন্ধ এ পর্বে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ‘মুক্তিযুদ্ধে লন্ডনে বসবাসরত চট্টগ্রামবাসীর ভূমিকা’ শীর্ষক এ নিবন্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা
যুদ্ধকালের একটি বিস্মৃতপ্রায় বা অনুল্লেখিতপ্রায় বহু চট্টগ্রামী ব্যক্তিত্বের ও কর্মকাণ্ডের
ওপর বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধটি ইংরেজি-বাংলা মিশ্র ভাষায়
লেখা হওয়াতে সবার পক্ষে পুরোপুরি বুঝে ওঠাটা কিছুটা অসুবিধাজনক হয়ে পড়েছে বৈকি।
স্মরণিকা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য, জিসিএ-ইউকে’র স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার
মনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর সৈয়দ ফিরোজ গনি, কোষাধ্যক্ষ অনুপম সাহা (এফসিসিএ),
চলতি কার্যকরী কমিটির সভাপতি ও স্মরণিকার সম্পাদক মো. ইসহাক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক
মোহাম্মদ কায়সার প্রমুখও এ স্মরণিকায় মূল্যবান বাণী দিয়েছেন।
স্মরণিকাটির প্রকাশনা কর্মের প্রধান সমন্বয়ক মো. আলী রেজা
তুলে ধরেছেন কাজটা শেষ করার জন্যে তাঁদের কয়েক মাসব্যাপী নিরলস প্রয়াস ও পরিশ্রমের
কথা। তিনি লিখেছেন, “আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে এই বইকে
ডিজিটাল আকারে ই-বুক হিসেবে সারা বিশে^র বাঙালিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেব। চেষ্টা করব
চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের সব গৌরবের ইতিহাস এই ই-বুকে সংযুক্ত করতে।”
আমরা চাই জিসিএ-ইউকে’র এই পরিকল্পনা যেন মাঝপথে বিস্মৃত বা পরিত্যক্ত
না হয়ে অচিরেই বাস্তবায়িত হয়। এভাবে সকলের সম্মিলিত অবদানেই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের
স্বাধীনতা সঙগ্রামের সত্য ও অনুপুঙ্খ ইতিহাসের সম্পূর্ণ অবয়ব নির্মিত হবে।
বইটির সম্পাদনার দুরূহতার কথা স্মরণে রেখেই বলছি, এ ব্যাপারে
আরেকটু যত্নবান হওয়া গেলে ভাষা, বানান ও গ্রন্থনার ক্ষেত্রে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল-ত্রুটি
এড়ানো যেতো, এবং বইটি সর্বাঙ্গসুন্দর হয়ে উঠতো। তারপরও জিসিএ-ইউকে’র সদস্যরা তাঁদের জীবন-জীবিকা এবং
সামাজিক-সাংগঠনিক সেবাকর্মের ব্যস্ততার মধ্যেও আমাদের এমন একটি অসাধারণ প্রকাশনা উপহার
দিয়েছেন, এজন্যে কোনো ধন্যবাদই তাঁদের জন্যে যথেষ্ট নয়। এটি একটি নিবিড় পাঠ ও সংগ্রহযোগ্য
বই। বইটির কোনো বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি, কারণ এটি প্রকাশের পেছনে কোনো বাণিজ্যিক
উদ্দেশ্য নেই। গভীর দেশাত্মবোধ থেকে যুক্তরাজ্যে অভিবাসিত চট্টগ্রামীরা শুধুমাত্র প্রচার
ও বিতরণের লক্ষ্যেই এই বিশাল ব্যয়সাপেক্ষ গ্রন্থটি প্রকাশ করেছেন। প্রার্থনা করি, এভাবেই
তাঁরা যেন দেশে-বিদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাংলাদেশ তথা চট্টগ্রামের
গৌরবের পতাকা চিরসমুন্নত রাখেন।
.................................................................................................................................................................
স্বর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ
(Bangladesh at
50)
প্রকাশক: গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশান-ইউকে
প্রকাশকাল: ৫ ডিসেম্বর, ২০২১
সম্পাদক: মোহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী
সহ-সম্পাদক: শহীদ-উল ইসলাম
প্রধান সমন্য়কারী: মো. আলী রেজা
সম্পাদকমণ্ডলী:
ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন
মোহাম্মদ আলি
সেলিমুল হক
এবং অন্যান্য
প্রকাশনা সমন্বয়কারী: অলিউর রহমান
প্রচ্ছদ: বিশ্বজিৎ তলাপাত্র
ডিজাইন সহকারী: টিটু মল্লিক
মুদ্রণ: জি.জি. অফসেট প্রেস, ঢাকা
মন্তব্য করুন