পার্বত্য এলাকার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সর্বপ্রথম চিন্তা ভাবনা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরই ধারাবাহিকতায় গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে পার্বত্য জনপদের উন্নয়নের জন্য নানামুখী কর্মসূচী গ্রহণ করে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করে আসছে। যাতায়াত, শিক্ষা, কৃষি, সমাজ কল্যাণ, অবকাঠামো উন্নয়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। শুধু তাই নয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্যও কাজ করে যাচ্ছে। এতে আইসিটি প্রকল্প অন্যতম। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ পার্বত্য এলাকার বেকার তরুন-তরুণীদের আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন ও আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিকরণ শীর্ষক প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা এ কথা বলেন।
৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয়স্থ আইসিটি ল্যাবে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্ত সচিব)। এসময় সদস্য প্রশাসন ইফতেখার আহমেদ (যুগ্মসচিব), সদস্য বাস্তবায়ন মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ (উপসচিব), সদস্য পরিকল্পনা মো. জসীম উদ্দিন (উপসচিব), বোর্ডের উপ-পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক মংছেনলাইন রাখান, গবেষণা কর্মকর্তা জনাব কাইংওয়াই ম্রো, রাঙ্গামাটিস্থ ত্রি-মাত্রিক ফাউন্ডেশনের সিইও মো. ওমর ফারুকসহ বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত আইসিটি প্রকল্পের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা আইয়ুব ভূঁইয়া, ফ্রিল্যান্সার পারলিয়েন পাংখোয়া ও প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড যুব সমাজকে নিয়ে চিন্তা করে। আজকের তরুণ সমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে না পারলে দেশের সামগ্রীক উন্নয়ন ঘটবে না। পার্বত্য এলাকার তরুণ সমাজ আগামীতে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত হবে এবং দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথি বোর্ডের আইসিটি ল্যাবের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এই প্রশিক্ষণে প্রতি ব্যাচে ২০জন করে দুই ব্যাচে মোট ৪০জন শিক্ষিত তরুণ-তরুণীকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ১৮০ কার্যদিবসে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
- মা.ফা
মন্তব্য করুন