প্রেমের সম্পর্কের
জেরে পালিয়ে বিয়ে করায় চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ছেলের পরিবারের সদস্যরা ক্ষুব্দ হয়ে মেয়েদের
ঘর ভাংচুর ও অর্থ লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। ২১ মে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার সময় উপজেলার
জোরারগঞ্জ থানাধীন ৪নং ধুম ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ধুম গ্রামের কাসেম টেইলারের
বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগের সূত্রে
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কাসেম টেইলার বাড়ীর মাছ ব্যবসায়ী মো. কামরুলের মেয়ে মীম আক্তারের
(১৮) সাথে একই বাড়ীর মৃত মো. নুরুল মোস্তফার ছেলে মো. সাইদুল ইসলাম সাহেদের (২২) দীর্ঘদিন
প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। দুই পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতো। ফলে তাদের মধ্য কলহ ও ঝগড়া
হতো। ঘটনার দিন মঙ্গলবার সকালে সাহেদ বাড়ী থেকে বের হয়, অন্যদিকে মীম তার আত্মীয়ের
বাসা থেকে যোগাযোগরে মাধ্যমে সাহেদের সাথে অজ্ঞাত স্থানে একত্রিত হয়। পরে ওই দিন তারা
পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে বলে সাহেদের পরিবার জানতে পারে। এদিকে এই বিয়েতে মীমের বাবার
হাত রয়েছে মর্মে অভিযোগ তুলে সাহেদের মা রোকেয়া বেগম ও তার ভাই মিলে মীমদের ঘর-দরজা
ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
এই ঘটনায় মীমের
মা রহিমা বেগম বিচার চেয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি সিআর
মামলা (১৬৭/২৪) দায়ের করেন। মামলায় ৩ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে বিবাদী করে
দন্ডবিধির ৮টি ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বাদীনি উল্লেখ করেন, তার ষোড়শি
কন্যা মীম আক্তারকে ফুসলিয়ে একই বাড়ীর সাইদুল ইসলাম সাহেদ অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে
যায়। এঘটনার জের ধরে সাহেদের পরিবারের লোকজন তার বসত ঘর, আসবাপত্র ভাংচুর করে এবং তাকে
ও তার শিশুপুত্রকে মারধর করে ঘরের আলমিরাতে রক্ষিত নগদ ২ লক্ষ টাকা এবং একটি স্বর্ণের
চেইন ও এক জোড়া কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে য়ায়। জানতে চাইলে মীমের বাবা কামরুল ইসলাম জানান,
আমার মেয়েকে সাহেদ অপহরণ করে নিয়ে গেছে। আমার স্ত্রী-সন্তানের উপর নির্যাতন করে আমার
বসত ঘর ভাংচুর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। বিবাদীদের ভয়ে আমরা এখন অজ্ঞাত
স্থানে বসবাস করছি।
এবিষয়ে বিবাদী সাহেদের মা রোকেয়া বগেম বলেন, আমার ছেলের সাথে ওই মেয়ের সম্পর্ক ছিলো। পরে মেয়ের মা আমার ছেলের কাছে বিয়ে দিবেনা বলাতে সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। আমি জানতে পারি মেয়ের বাবা তার মেয়েকে নিয়ে গিয়ে আমার ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছে। তাই আমি তাদের ঘর ভাংচুর করেছি। তবে কারো সাথে মারামারি হয়নি।
- নাছির উদ্দিন,
মিরসরাই
মন্তব্য করুন