ধর্ম চেতনা ও ধর্মবোধ
মানুষকে সত্য সনাতন সুন্দরের পথে পরিচালিত করার ফলে সমাজ থেকে অন্যায়-অনাচার
দূরীভূত হয়। এখানে মঠ-মন্দির শুধু ধর্ম চর্চার সাধনা করে না। মানুষের মধ্যে
পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি ও সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। ধর্মবোধ
মানুষকে ন্যায়ের শিক্ষা দিয়ে সভ্য করেছে। তাই গীতার আদর্শ ও উদ্দেশ্য বুকে ধারণ
করতে পারলে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ হবে।
১৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার
সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শঙ্কর মঠ ও মিশনের বার্ষিক অনুষ্ঠানে স্বামী
স্বরূপানন্দ গিরি মহারাজের ১৫১তম শুভ আবির্ভাব উপলক্ষে বিশ্বশান্তি গীতাযজ্ঞ শেষে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন
একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ডা. রাজীব
রঞ্জন আরো বলেন, বিশ্বজনীন ধর্মগ্রন্থ শ্রীমদ্ভগবত গীতার কর্ম, জ্ঞান ও ভক্তি
মানুষকে নানা অপকর্ম থেকে বিরত রাখে। সত্যিকার অর্থে নিষ্কাম কর্ম এবং
অন্ধাকারাচ্ছন্ন পথ থেকে উত্তরণের জন্য মনুষ্যত্বের সাধনা করাই হলো গীতা শিক্ষা।
গীতার আদর্শ ও উদ্দেশ্য বুকে ধারণ করতে পারলে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ হবে।
ভারতের কাশী থেকে আগত
পন্ডিতজী অজয় দ্বীবেদী, কাশীর ভোলাগিরি আশ্রমের মাধবানন্দ ব্রহ্মচারী, বারাসাত
শঙ্কর মঠের পল্লব মহারাজ, স্বপ্রকাশ ব্রহ্মচারী, সীতাকুণ্ড শঙ্কর মঠের শ্রীমৎ
মুক্তানন্দ গিরি, জগদীশ্বরানন্দ ব্রহ্মচারী, কর্মকর্তা অধ্যাপক তড়িৎ কুমার
ভট্টাচার্য, প্রদীপ মহাজন জহর, বাসুদেব দাশ ও মঠের সাধু-সন্তুরা এসময় উপস্থিত
ছিলেন। অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন মঠের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ।
গীতাযজ্ঞ শেষে ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং দুপুর ও রাতে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
- মা.ফা
মন্তব্য করুন