দেশ-বিদেশে প্রখ্যাত সংঙ্গীতজ্ঞদের সাথে তবলা সংঙ্গত করে সুনাম কুড়িয়েছেন পন্ডিত বিজন কুমার চৌধুরী। ক্ল্যাসিক্যাল সংগীতে পন্ডিত বিজন কুমার চৌধুরীর তবলাসঙ্গত যেন অন্য এক মাত্রার সৃষ্টি করতো। পন্ডিত বিজন কুমার চৌধুরী একজন গুণী সংগীতজ্ঞ ছিলেন, সংগীত জগতে এমন গুণধর শিল্পী বিরল। তিনি অসংখ্য শিষ্য তৈরি করে গেছেন। যারা দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তবলা সঙ্গত করে সুনাম কুড়িয়ে যাচ্ছেন। তাঁর অভাব পূরণ করার নয়। দেশবরেণ্য তবলাগুরু পন্ডিত বিজন কুমার চৌধুরীর স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন বক্তারা।
১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পন্ডিত বিজন চৌধুরী’র ৮৩ তম জন্মবার্ষিকী ও ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতিচারণ ও দুইদিনব্যাপী উচ্চাঙ্গসংগীত অনুষ্ঠানের প্রথমদিনে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপিকা রীতা দত্ত। বিশুতোষ তালুকদারের সভাপতিত্বে আনন্দী সঙ্গীত একাডেমি আয়োজিত এ স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হানিফ মিয়া। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, আনন্দী সঙ্গীত একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তবলাশিল্পী সুরজিৎ সেন। পন্ডিত বিজন কুমার চৌধুরীর শিষ্যদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন রাজু দাসগুপ্ত। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত বংশীবাদক ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম, সংগীত ভবন অধ্যক্ষা কাবেরী সেনগুপ্তা, সাইফুল আলম বাবু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে তবলাশিল্পী সুরজিৎ সেনের পরিচালনায় আনন্দী সঙ্গীত একাডেমি শিক্ষার্থী সৌম্য চক্রবর্তী, রাজদ্বীপ দত্ত, অনিন্দিতা দত্ত, তনুশ্রী সেন, অর্ক নন্দী, আদিত্য ভট্টাচার্য, আদৃত্য চৌধুরী, অনিক বড়ুয়া, রাতুল সেন, জেনি ধর, দিপাঞ্জল দাশ, তীর্থ বড়ুয়া, পৃত্থীরাজ ভট্টাচার্য, দুর্জয় বড়ুয়া, প্রান্ত দাস, মনোজ ভাস্কর রিভু, পৃথিজিৎ দেব সমবেত তবলা লহরা পরিবেশন করেন।
একক সংগীতে অংশগ্রহণ করেন রাজিব দাস, দোলন কানুনগো (মোহন বীণায় রাগ পরিবেশন করেন), রাজু চৌধুরী (তবলা), প্রত্যয় বড়ুয়া অভি (উচ্চাঙ্গ সংগীত)। তবলায় সহযোগিতা করেন জয় প্রকাশ ভট্টাচার্য। হারমোনিয়ামে আল ইমরান। কথক নৃত্য পরিবেশন করেন ময়ূরাক্ষী দাশ, তানপুরায় ছিলেন অমলেন্দু রাহা, সম্পদ বড়ুয়া। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন তুর্ণা বড়ুয়া ও অর্বিয়া রোদশী।
- মা.ফা
মন্তব্য করুন