বঙ্গবন্ধুর নশ্বর শরীরকে হত্যা করা হয়েছিল, কিন্তু তাঁর অবিনশ্বর চেতনা
ও আদর্শ ছিল মৃত্যুঞ্জয়ী। বঙ্গবন্ধু সারাবিশ্বে শোষিত ও স্বাধীনতাকামী মানুষের কাছে বিশ্ববন্ধু হিসেবে সমাদৃত হয়েছেন। এ মহান নেতা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এবং বাঙালি জাতিকে আত্মমর্যাদাশীল জাতিতে রুপান্তরে আমৃত্যু লড়াই করে গেছেন। তিনি শুধু বাংলাদেশ স্বাধীন
করার মহানায়ক নন, তিনি তৎকালীন মুসলিম লীগের
উদীয়মান নেতা হিসেবে পাকিস্তান সৃষ্টি আন্দোলনেও ভূমিকা রেখেছেন। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৪৭ তম
শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে চট্টগ্রাম দারুল উলুম কামিল
মাদ্রাসা আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
১৫ আগস্ট চট্টগ্রাম দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসায় আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব
করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক ও মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি
আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন। এতে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর
আনোয়ারুল আজিম আরিফ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য
রাখেন ১৭ নং বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনাব শহিদুল আলম, ১৬ নং চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনাব নুর মোস্তফা টিনু, সাংবাদিক ওসমান গনী মনসুর, বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ড. ফয়সাল কামাল চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন আহমদ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ মুহ্সিন ভূঁইয়া। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য
রাখেন মুহাদ্দিস ও দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মাওলানা আনোয়ার হোসাইন ও বাংলা
বিভাগের প্রভাষক মায়মুনা হক। ছাত্রদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন কামিল ২য় বর্ষের
ছাত্র মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাদ্রাসার অনার্স চতুর্থ
বর্ষের ছাত্র আবুল হাসনাত মোহাম্মদ নুরুল মুস্তফা। আলোচনা
সভা শেষে ১৫
আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্যের রুহের মাগফেরাত কামনা করে
দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন শায়খুল হাদিস মাওলানা মাকছুদ
আহমদ। অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
-নু বা
মন্তব্য করুন