প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ কর্তৃক চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। কারন তিনি কার্বণ
নিঃসরণ নিয়ন্ত্রনে এনেছেন এবং সারা বিশ্বকে এটি অনুসরণ করতে অনুরোধ জানান। সরকার ২০৪১
সলের মধ্যে কিছু উচ্চাকাঙ্খী লক্ষ্যেমাত্রা ঠিক করেছে। সেগুলো হলো আমাদের টোটাল এনার্জির
৪০% আসবে গ্রীণ সোর্স হতে যেমন সোলার, কোয়িন্ট, টাইডেম এছাড়াও ভবিষ্যতে হাইড্রোজেন
ফুয়েলও হতে পারে। কেননা আমাদের লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিনত হওয়া।
চট্টগ্রামে ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি চিটাগাং (ইউএসটিসি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে
এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
১২ ডিসেম্বর সোমবার
বিকেলে চট্টগ্রামের র্যাডিসন ব্লু’র মেজবান হলে
ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি চিটাগাং (ইউএসটিসি) ক্যাম্পাসে ২০২৫ সালের মধ্যে
জিরো কার্বন স্ট্যাটাস অর্জনের লক্ষ্য ঘোষণা এবং ইউএসটিসি’তে নবায়নযোগ্য
শক্তি প্রকৌশল ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য
ও সম্প্রচার মন্ত্রী একথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ
বলেন, এ লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাকাঙ্খী হলেও আমি মনে করি সরকারি বেসকারি প্রতিষ্ঠান সকলের প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালে আমরা এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।
ইতোমধ্যে আমরা অনেকগুলো লক্ষ্য অর্জন করে ফেলেছি। বাংলাদেশ আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে
বিভিন্ন ধরনের ভয়াবহ বন্যা, ভূমিকম্প, সাইক্লোন ইত্যাদির সম্মুখীন হওয়ার পরেও খাদ্য
উৎপাদনে যথেষ্ট সমৃদ্ধশালী। এটা কোন ম্যাজিকে হয়নি, এটা সম্ভব হয়েছে ম্যাজিকেল লিডার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারনে ।
ইউএসটিসি কর্তৃক
গৃহীত উদ্যোগটির ভূয়সী প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও এনভাইরনমেন্টাল সায়েন্সের
ছাত্র। আমি প্রায় দীর্ঘ ১০ বছর পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম আমাদের পার্টির। আমি বিদেশে
পড়ালেখা করার সময় আন্তর্জাতিক গ্রীণ-পিসের সদস্য ছিলাম। আমি পরিবেশ বিজ্ঞানের ছাত্র
হিসেবে একজন পরিবেশ কর্মীও। যদিও কার্বণ নিঃসরণ ঘটায় উন্নত রাষ্ট্র কিন্তু তার কুফল
ভোগ করতে হয় সকলকে। এখন বৈশ্বিক উষ্ণতার কারনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে ইউরোপের
বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে ইউএসটিসি’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ইউএসটিসি বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান আহমেদ ইফতেখারুল ইসলাম, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর প্রফেসর ড. আব্দুর রাজ্জাক, সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবকবৃন্দ।
- ই.হো
মন্তব্য করুন