সবাই স্বপ্ন দেখতে
পছন্দ করে কিন্তু সবার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়না। যদি স্বপ্নের সাথে প্রচেষ্টা যুক্ত
হয় তাহলে তার মধ্যে ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক পাওয়ার জন্মাবে। এবং সে শক্তি মানুষকে তার স্বপ্ন
বাস্তবায়নে সাহায্য করবে। চট্টগ্রামের কুমিরায় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের
শরৎকালীন সেমিস্টার ২০২৩ এর ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার
মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
১৭ জুন শনিবার
বিশ্ববিদ্যালয়ের চট্টগ্রাম ক্যাম্পাসে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম-এর উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম। অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ
আল দুহাইলান। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু রেজা
মো. নেজাম উদ্দিন নদভী এমপি, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার
প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির বক্তৃতা করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার
মন্ত্রী বলেন, শারীরিক অক্ষমতা বা দারিদ্রতা কোন মানুষের উন্নতির পথে প্রতিবন্ধকতা
হিসেবে দাঁড়াতে পারে না। বিভিন্ন মনীষিদের কথা উল্লেখ করে বলেন, হাজারো প্রতিবন্ধকতা
থাকা সত্ত্বেও তাঁরা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সুতরাং এসব কিছুই প্রতিবন্ধকতা নয়। যদি
কেউ স্বপ্ন না দেখে বা স্বপ্নের সাথে প্রচেষ্টাকে যুক্ত না করে সেটাই হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা।
নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পাশাপাশি দেশের স্বপ্নকেও বাস্তবায়িত করতে হবে। তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, শুধু পাঠদান নয়- মেধা, মূল্যবোধ
ও দেশাত্মবোধের সমন্বয় ঘটিয়ে তারা যেন সত্যিকারের মানুষ হয় এবং দেশ, সমাজ ও জাতির উপকারে
আসে সে লক্ষ্যে ছাত্রছাত্রীদেরকে তৈরি করতে হবে।
এর আগে তিনি ষান্মাষিক
পত্রিকা ‘IIUC
বার্তা’-এর মোড়ক উন্মোচন
ও নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করেন।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের হত্যাকান্ডে যারা জড়িত তাদের ইতোমধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং এ ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে সেজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। পরে চট্টগ্রামে বিএনপি’র তারুণ্যের সমাবেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামালখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালসহ ইতিহাস ঐতিহ্যের অনেক স্থাপনা তারা ভাঙচুর করেছে। এতেই প্রমানিত হয় বিএনপি তরুণদেরকে সন্ত্রাসবাদের শিক্ষা দিচ্ছে। এটা আসলে তারুণ্যের সমাবেশের নামে নৈরাজ্য শিক্ষার সমাবেশ ছিল।
- মা.ফা.
মন্তব্য করুন