বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সাকিব আল হাসান যদি বেটিং প্রতিষ্ঠানে ‘সঙ্গ’ ত্যাগ না করেন তাহলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গেই তাঁর কোনো সম্পর্ক থাকবে না।
বেটিং প্রতিষ্ঠান বেটউইনারের
অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ক্রীড়াবিষয়ক সংবাদমাধ্যম বেটউইনার নিউজ-এর পণ্যদূত হয়েছেন সাকিব। এরকম
একটি প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়া দেশের আইন এবং ক্রিকেট নীতির সঙ্গে
সাংঘর্ষিক। একারণে বিসিবিকে এতটা কঠোর অবস্থানে যেতে হচ্ছে।
বেটিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে
চুক্তিবদ্ধ হওয়ার আগে সাকিবকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাকিব তাতে সাড়া
দেননি। এমনকি অবস্থান বদলানোর কোনো সিদ্ধান্তের কথাও এখনও জানাননি বিসিবিকে।
আজ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে
তিনি বলেছেন, “সাকিবের একটা চিঠি গতকাল পাওয়ার কথা ছিল। আজকের মধ্যে চলে আসার কথা।
এরপর আমরা সাকিবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। কোনোরকম (বেটিং প্রতিষ্ঠানে) সম্পৃক্ততা
থাকলে অধিনায়কত্ব তো দূরের কথা, দলেই থাকবে না সে। সব ছেড়ে আসতে পারলেই কেবল এশিয়া
কাপ খেলতে পারবে সাকিব।”
এশিয়া কাপের এবারের আসর
হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। এই প্রতিযোগিতায় সাকিবের খেলা নির্ভর করছে বেটিং প্রতিষ্ঠানের
সঙ্গে তার সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন হয়েছে কিনা, তার ওপর। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সাকিব
তো টেস্ট দলের অধিনায়ক, এই ফরম্যাটেও কি বিসিবি একই অবস্থানে থাকবে? পাপন এব্যাপারে
আরো কঠোর, “বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গেই কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যার বেটিংয়ের সঙ্গে
সম্পর্ক আছে, এরকম কারো বাংলাদেশের ক্রিকেটে জায়গা হবে না। ওর ছেড়ে আসতেই হবে, না হলে
বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকবে না সাকিব।”
উদাহরণ হিসেবে মোহাম্মদ
আশরাফুলের ইস্যু সামনে এনেছেন বিসিবি প্রধান, “বিসিবি কোনোভাবেই এগুলোকে
গ্রহণ করবে না। যে যেভাবেই এটাকে ব্যাখ্যা করুক বা না করুক। এটা (চুক্তিটি) থাকার কোনো সুযোগই নেই। তখন আমাদের আশরাফুলের মতো ক্রিকেটারকেও
বাদ দিতে হয়েছে। কাজেই এখানে থাকার কোনো সুযোগ নেই।”
জানা গেছে, সাকিবের আগে বেটউইনার নিউজ ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ দলের আরেক ক্রিকেটারকে। কিন্তু বেটিং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণে সেই ক্রিকেটার প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেন। যদিও দ্বিগুণ অফারে সাকিব সেটি লুফে নেন।
মন্তব্য করুন