বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট জয়ের পর প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পবর্তশৃঙ্গ পাকিস্তানের কে-টু’র চূড়াতেও পা রাখলেন পবর্তারোহী ওয়াসফিয়া নাজরিন। কে-টু’র উচ্চতা ৮,৬১১ মিটার (২৮,২৫১ ফুট)।
গতকাল ২২ জুলাই তাঁর সঙ্গে একই দিনে কে-টু জয় করেন অন্য তিন দেশের
তিন নারী। এঁরা হলেন: ইরানের আফসানেহ্ হেসামিফার্দ্, লেবাননের সৌদি নাগরিক নেলি আত্তার,
এবং পাকিস্তানের সামিনা বেগ। এঁরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ দেশের প্রথম নারী পর্বতারোহী
হিসেবে কে-টু শৃঙ্গশীর্ষে আরোহণ করলেন।
বাংলাদেশের একমাত্র এবং প্রথম বাঙালি হিসেবে সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ
পর্বতশৃঙ্গ (সেভেন সামিট) জয় করার জন্য বিশ্ব জুড়ে ওয়াসফিয়ার পরিচিতি রয়েছে।
তাঁর এই অভিযানের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে রেনাটা লিমিটেড। তাঁর সঙ্গে ছিলেন
মিঙ্গমাতেঞ্জি শেরপা, মিঙ্গমা ডেভিড শেরপা, নির্মল পুরজা প্রমুখ বিশ্বখ্যাত কয়েকজন
নেপালি পবর্তারোহী।
রবিবার কে-টু চূড়ায় ওঠার জন্য রওনা দেন ৩৯ বছর বয়সী ওয়াসফিয়া। পর্বতের
চূড়ায় পৌঁছেন শুক্রবার সকালে পৌঁছান।
বিশ্বে ৮ হাজার মিটারের চেয়ে উঁচু পর্বতগুলোর মধ্যে ১৪টি রয়েছে পাকিস্তানে।
এগুলোর চূড়ায় পৌঁছা যেকোনও পবর্তারোহীর জন্য কৃতিত্বের।
এভারেস্টের চেয়ে কে-টুর চূড়ায় আরোহণ করা অনেক বেশি কঠিন, কারণ
এখানে ভীষণ অস্থিতিশীল পরিবেশ ও আবহাওয়ার মোকাবিলা করতে হয়। ১৯৫৪ থেকে এখন পর্যন্ত
৪২৫ জন পর্বতারোহী এ শিখর জয় করেছেন, যাঁদের মধ্যে নারীর সংখ্যা ২০ জন।
অন্যদিকে, এডমুন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগে ১৯৫৩ সালে প্রথমবার
এভারেস্ট জয় করার এপর্যন্ত ৬ হাজারেরও বেশি পর্বতারোহী এর চূড়ায় পা রেখেছেন,
যাঁদের মধ্যে অনেকে একাধিকবার।
মন্তব্য করুন