শ্রীলঙ্কার পর এবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আরো একটা বিধ্বংসী পারফরম্যান্স দেখা গেল আফগানিস্তানের। শারজায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এবারের এশিয়া কাপে প্রথম দল হিসেবে সুপার ফোর নিশ্চিত করল আফগানিস্তান।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচটিতে ছিল পেসারদের দাপট। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে
জয়ের মঞ্চ গড়ে দেয় আফগানিস্তানের স্পিন জুটি। দুই আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমান এবং
রশিদ খানের দাপটে ৮৯ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষে মোসাদ্দেক হোসেনের অপরাজিত
৪৮-এর সুবাদে ১২৭ অবধি পৌঁছায় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র তিনটি উইকেট হারিয়ে
জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান।
ম্যাচের আগে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহদি হাসান মিরাজ জানিয়েছিলেন,
স্পিন সহায়ক পিচ পেলে দু’দলের লড়াই ভালো হবে। তবে এমন লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হবে এমনটা
হয়তো তিনি আন্দাজ করেননি। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব
আল হাসান। দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা। মহম্মদ নঈমকে বোল্ড করেন মুজিব। ডট বলের চাপে ছন্নছাড়া
বাংলাদেশ। চতুর্থ ওভারে আনামুল হককে ফেরান মুজিবই। পাওয়ার প্লে-তে ফেরেন অধিনায়ক সাকিব
আল হাসানও। মাত্র ২৪ রানে ৩ উইকেট পড়ে বাংলাদেশের। তিনটিই মুজিবের শিকার। এরপর পর
রশিদ খানের ম্যাজিক শুরু। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেনকে ফেরান
রশিদ। শেষ দিকে তিনটি ছোট জুটি হওয়ায় কিছুটা ভদ্রস্থ স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক
হোসেন ৩১ বলে ৪৮ রান করেন। শেষ অবধি ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৭ অবধি পৌঁছায় বাংলাদেশ। মুজিব
উর রহমান এবং রশিদ খান তিনটি করে উইকেট নেন।
ব্যাট হাতে ভরসা দিতে না পারলেও বোলিংয়ে নজর কাড়লেন সাকিব আল হাসান।
৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান ১ উইকেট নেন। ১৩ ওভারে ৬২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে সাময়িক চাপে পড়ে
আফগানিস্তান। নাজিবুল্লাহ জাদরান এবং ইব্রাহিম জাদরানের দাপটে ঘুরে দাঁড়ায় আফগানিস্তান।
ইব্রাহিম মাত্র ১৭ বলে ৪৩ রান করেন। ৩৩ বলে ৬৯ রান যোগ করে এই জুটি। ইব্রাহিম ১ টি
বাউন্ডারি এবং আধডজন ছয় মেরেছেন। ৯ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় আফগানিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : বাংলাদেশ ১২৭-৭ (মোসাদ্দেক হোসেন অপরাজিত ৪৮, মুজিব উর রহমান ৩-১৬, রশিদ খান ৩-২২)। আফগানিস্তান ১৩১-৩ (নাজিবুল্লাহ জাদরান ৪৩ অপরাজিত ৪৩, ইব্রাহিম জাদরান অপরাজিত ৪২)।
মন্তব্য করুন