সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে নিউইয়র্কে যে তদন্ত চলছে, সেখানে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের প্রশ্নের জবাব দিতে তিনি অস্বীকার করেছেন।
ঋণ এবং কর সুবিধা পাবার
জন্য ট্রাম্প তাঁর সম্পদের সঠিক মূল্য না দিয়ে কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা
করেছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, তিনি কোন
অন্যায় করেননি এবং তাঁর বিরুদ্ধে যে তদন্ত হচ্ছে, সেটি তাঁকে হেয় করার জন্য প্রচারণা।
কয়েকদিন আগেই ট্রাম্পের
ফ্লোরিডার বাড়িতে মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই অন্য আরেকটি অভিযোগে তল্লাশি চালিয়েছিল।
ম্যানহাটনে অ্যাটর্নি জেনারেলের
অফিসে জেরা করার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প নিউইয়র্ক অ্যাটর্নি জেনারেলের এবং চলমান তদন্তের
সমালোচনা করেন।
ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকার
সংবিধানের প্রতিটি নাগরিককে যে অধিকার দেয়া হয়েছে, সেটার আওতায় আমি প্রশ্নের জবাব
দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছি।”
“মি. ট্রাম্পের অপরাধের যেসব প্রমাণ দেয়া হয়েছে, সেগুলোর বিপরীতে তিনি
পঞ্চম সংশোধনীতে থাকা অধিকার তুলে ধরেছেন।”
অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস
জানিয়েছে, তাদের তদন্ত চলবে এবং আইন ও তথ্য প্রমাণ যেদিকে নিয়ে যায় তারা সেদিকে
যাবে।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প
হয়তো প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, কারণ তদন্তের সময় উত্তরগুলো তাঁর
বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা হতে পারে।
প্রেসিডেন্ট থাকার সময়
ট্রাম্প সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী এনেছিলেন। এর ফলে কোনো মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে
তাঁর নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য বাধ্য করা যাবে না।
ট্রাম্পের আইনজীবী সংবাদ
মাধ্যমকে জানিয়েছেন, চার ঘণ্টা ধরে এ জেরা চালানো হয়েছে এবং মাঝে মাঝে দীর্ঘ বিরতিও
ছিল।
শুরুতেই ট্রাম্প একটি লিখিত
বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং এ তদন্তের নিন্দা জানান। একইসাথে তিনি
পঞ্চম সংশোধনীতে থাকা অধিকারের বিষয়টি উল্লেখ করেন।
এই তদন্ত শেষ হবার পর অ্যাটর্নি
জেনারেল ট্রাম্প এবং তাঁর কোম্পানির বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানার মামলা করতে পারেন।
ট্রাম্প আর তাঁর সন্তানদের
যাতে কোন জেরার মুখে পড়তে না হয়, সেজন্য নিউইয়র্ক অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরুদ্ধে
মামলা করতে চেয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী।
কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে
নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্ট বিচারক রায় দেয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প আর তাঁর দুজন সন্তানকে
অবশ্যই জেরার জন্য হাজির হতে হবে।
মন্তব্য করুন