তুরস্কে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট
হলেন রিসেপ তায়িফ এরদোগান। ২৯ মে সোমবার ঐতিহাসিক দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে বিজয়ী
হয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন তিনি। এমসয় উৎফুল্ল সমর্থকদের উদ্দেশে এরদোগান
বলেন, ‘আমাদের ঐক্য ও সংহতি নিয়ে একত্রিত হওয়া উচিত। আমরা অত্যন্ত
আন্তরিকতার সাথে এ আহ্বান জানাচ্ছি।’
গত ১৪ মে দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট
রিসেপ তায়িফ এরদোগান পেয়েছিলেন ৪৯ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী
কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৫ দশমিক শূন্য শতাংশ ভোট। কোন পক্ষই ৫০ শতাংশ ভোট না
পাওয়ায় নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়।
দেশটিতে গত একশ বছরের ইতিহাসে রবিবার প্রথম বারের মতো দ্বিতীয়
দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে এরদোগানের (৬৯) ২০ বছরের
ক্ষমতার মেয়াদ ২০২৮ সাল পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। বিশ্লেষকরা মনে করেন তুরস্কের
কঠিন অর্থনৈতিক সংকটের চ্যালেঞ্জ এবং তীব্র শক্তিশালী বিরোধী জোটকে মোকাবেলা করেই
এরদোগান তার বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুর একটি সংবাদে জানা
যায়, ৯৭ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে এরদোগান পেয়েছেন ৫২ দশমিক ১ শতাংশ ভোট।
তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট।
এরদোগানের বিজয়ের কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক হওয়া সত্ত্বেও সেক্যুলার বিরোধী জোট বিকল্প কোন এজেন্ডা সামনে আনতে পারেনি। এছাড়া ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রচারের কারনে তুরস্কের কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের দরিদ্র ও অধিকতর গ্রামীণ জনগণ এরদোগানের ওপরই তাদের আস্থা রেখেছেন।
- মা.ফা.
মন্তব্য করুন