ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুদিন বাড়ানো হয়েছে। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েকঘন্টা আগে মধ্যস্থতাকারী কাতার এ কথা জানিয়েছে।
এর ফলে ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার ও আগামীকাল
বুধবার উপত্যকাটিতে হামলা চালাবে না ইসরাইলি বাহিনী। এ ছাড়া এ দুই দিনে নিজেদের মধ্যে
আরও জিম্মি ও বন্দিবিনিময়ে রাজি হয়েছে দুই পক্ষ।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্সে(সাবেক
টুইটার) এক বিবৃতিতে বলেছে, একই শর্তের ভিত্তিতে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলী কর্তৃপক্ষ গাজায়
যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুদিন বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাসও এ তথ্য নিশ্চিত
করেছে। তবে ইসরাইলী পক্ষ থেকে খবরটি নিশ্চিত করা হয়নি।
গত বুধবার কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের
মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস ও ইসরাইল। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া চার দিনের
যুদ্ধবিরতি শেষ হয় গতকাল সোমবার।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা
কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির বাড়তি মেয়াদে আরও ২০ জিম্মিকে
মুক্তি দেবে হামাস।
তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই আশা করি, সাময়িক
এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ সামনে আরও বাড়বে। আর এটি নির্ভর করবে হামাসের হাতে জিম্মি থাকা
ব্যক্তিদের মুক্তির ওপর।
এদিকে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধিতে সন্তোষ
প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আশা প্রকাশ
করে বলেন, গাজার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কাছে আরও ত্রাণসহায়তা পৌঁছাতে সহায়তা করবে
এটি। তবে উপত্যকাটির মানুষ জরুরি পণ্যের যে ঘাটতিতে রয়েছেন, তা এ দুই দিনে মেটানো অসম্ভব।
যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে আগে থেকেই তৎপরতা
চলছিল। শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য,
যুদ্ধবিরতি সোমবারের পরও নিয়ে যাওয়া; যাতে আরও জিম্মি মুক্তি পায় ও জরুরি প্রয়োজনের
মুখে থাকা মানুষের কাছে আরও ত্রাণসহায়তা পৌঁছানো যায়।’
যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছিল
জার্মানি, ইরান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ও জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি
শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ।
এদিকে শনিবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন
নেতানিয়াহু বলেছেন, “যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরপরই আমাদের লক্ষ্য
অর্জনে পুরো শক্তি দিয়ে হামলা চালাব আমরা। লক্ষ্যগুলো হলো হামাসকে নিশ্চিহ্ন করা, গাজা
যাতে আগের অবস্থায় না ফেরে, আর অবশ্যই সব জিম্মিকে মুক্ত করা।”
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এর পর পরই ইসরাইল গাজায় নির্বিচারে বোমা বর্ষণ ও পরে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে। তাদের অব্যাহত হামলায় সাড়ে ১৪ হাজার ফিলিস্তিনী নিহত হয়। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
- তথ্য সূত্র বাসস
মন্তব্য করুন