চট্টগ্রাম রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
চট্টগ্রাম রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

শিক্ষা

আমাদের উচিত এখনই সব পাঠ্যক্রমকে একীভূত করে একটি ডিজিটাল উদ্ভাবনীমুলক দক্ষতাভিত্তিক পাঠ্যসূচী তৈরী করা। যাতে দেশের সব শিক্ষার্থী একইভাবে একসঙ্গে অনাগত ভবিষ্যতের মোকাবেলা করতে পারে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগি করে ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীদের তৈরী করতে হবে

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : বুধবার, ২০২২ নভেম্বর ১৬, ০১:৫৮ অপরাহ্ন
কাট্টলি সিটি কর্পোরেশন গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম ও বঙ্গবন্ধু কর্ণারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বিশ্বের অনেক দেশই এখন স্মার্ট সিটির দিকে ধাবিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দেশকেও প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট সিটি গঠনে শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্মার্ট প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগি করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের তৈরী করতে হবে। তাই স্মার্ট সিটির বিকল্প নাই। কাট্টলি সিটি কর্পোরেশন গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম ও বঙ্গবন্ধু কর্ণারের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা কথা বলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

 

১৫ নভেম্বর সোমবার সকালে কাট্টলি সিটি কর্পোরেশন গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা ষ্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। এতে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত কাউন্সিলর তছলিমা নুরজাহান রুবী, অভিভাবক সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইকবাল চৌধুরী, মো. হাবিবুর রহমান, আবুল কালাম আবু, মো. আবু সুফিয়ান, শংকর প্রসাদ দাশ, হাজী মো. এস্কান্দর ও বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের পক্ষে সায়লা আবেদীন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম।

 

মেয়র বলেন, স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থা এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা যা আপ-টু-ডেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক স্তরের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন উপকরণের সাথে অধ্যয়ন করতে সক্ষম করে গড়ে তোলে।

আজকের শিক্ষার্থীরা জন্ম থেকেই ডিজিটাল প্রযুক্তির সংস্পর্শে এসেছে। আমাদের পাঠ্যক্রমের মধ্যে এটিকে আর্দশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য সহযোগিতামুলক প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল শিক্ষার সংস্থান, শ্রেণীকক্ষে রাখার জন্য কম্পিউটরাইজড প্রশাসন, মনিটরিং ও রিপোর্টিং ব্যবস্থা পর্যায়ক্রমে গ্রহণ করা হবে বলে জানান মেয়র।

 

মেয়র আরো বলেন, আমাদের উচিত এখনই সব পাঠ্যক্রমকে একীভূত করে একটি ডিজিটাল উদ্ভাবনীমুলক দক্ষতাভিত্তিক পাঠ্যসূচী তৈরী করা। যাতে দেশের সব শিক্ষার্থী একইভাবে একসঙ্গে অনাগত ভবিষ্যতের মোকাবেলা করতে পারে। তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল দুনিয়ায় শেষ সীমা বলে কিছু নেই। এখানে সর্বদা নতুন চিন্তা উদ্ভাবন ও সম্পাদন চক্র চলমান থাকে। প্রয়োজনে যে কোন সময়ে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা যায়। এডুটেক ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা দ্বারাই আমাদের চিরাচরিত সমাজকে পরিবর্তন করা সম্ভব। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রার্দূভাবের কারণে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন বন্ধ ছিল তখন দেশব্যাপী ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থার প্রয়োগ ও প্রয়োজনীতা আমরা বিশেষভাবে উপলদ্ধি করেছি। তিনি বলেন, সমাজে কিভাবে উৎকর্ষ সাধন ও অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল মানুষ তৈরী করা যায় সেদিকেও আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। অনুষ্ঠান শেষে মেয়র কাট্টলি সিটি কর্পোরেশন গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে বঙ্গবন্ধু কর্ণারের উদ্বোধন করেন।


- ই.হো

 


মন্তব্য করুন

Video