নাইজেরিয়ায় এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে
ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের এ নতুন সংখ্যা রোববার প্রকাশ করা
হয়।
টুইটারে দেওয়া নাইজেরিয়ার মানবিক
বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১৩ লাখেরও বেশি মানুষ
তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
দেশটির মানবিক বিষয়ক মন্ত্রী সাদিয়া
উমর ফারুক বলেন, “দুঃখজনক খবর
হচ্ছে, বন্যায় গত ১৬ অক্টোবর, ২০২২ তারিখ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ৬০৩ জন।”
গত সপ্তাহে এ সংখ্যা ছিল ৫০০ জন।
কিছু রাজ্য সরকার বন্যার প্রস্তুতি গ্রহণ না করায় মৃতের এ সংখ্যা বেড়ে যায়।
উমর ফারুক বলেন, বন্যায় ৮২ হাজারের
বেশি ঘরবাড়ি একেবারে ধসে পড়েছে এবং প্রায় এক লাখ ১০ হাজার হেক্টর কৃষিজমি পানিতে ডুবে
গেছে।
জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা
(এনইএমএ) জানায়, নাইজেরিয়ায় সাধারণত জুন মাসে বর্ষা মৌসুম শুরু হলেও বিশেষ করে আগস্ট
থেকে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হতে দেখা যায়।
দেশটিতে বিগত ২০১২ সালের বন্যায়
৩৬৩ জনের প্রাণহানি ঘটে এবং ২১ লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।
নাইজেরিয়াসহ সাব-সাহারান আফ্রিকার
দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সামঞ্জমস্যহীন প্রভাব এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে
ইতোমধ্যে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে।
ধান উৎপাদনকারীরা সতর্ক করে বলেছে,
এ ভয়াবহ বন্যার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় এর দামে প্রভাব পড়তে পারে। প্রায় দুকোটি
জনসংখ্যার এ দেশে স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ রয়েছে।
এদিকে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) গত মাসে বলেছে, নাইজেরিয়া দুর্ভিক্ষের চরম ঝুঁকি মোকাবেলারত ছয়টি দেশের মধ্যে রয়েছে।
মন্তব্য করুন