চট্টগ্রাম রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
চট্টগ্রাম রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

আন্তর্জাতিক

এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে পুতিন, মোদি ও শি জিনপিং সমরখন্দে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২০২২ সেপ্টেম্বর ১৫, ০৫:৩৭ অপরাহ্ন
রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন, ভারতের নরেন্দ্র মোদি ও চীনের শি জিনপিং-- এসসিও সম্মেলনের একই মঞ্চে।

রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন, ভারতের নরেন্দ্র মোদি ও চীনের শি জিনপিং এবং আরো কয়েকজন এশীয় নেতা উজবেকিস্তানের প্রাচীন সিল্ক রোড নগরী সমরখন্দে শুরু পশ্চিমা বৈশ্বিক প্রভাব মোকাবেলায় চ্যালেঞ্জ নামের একটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে সমবেত হচ্ছেন।

আজ বৃহস্পতিবার এবং আগামীকাল শুক্রবার উজবেক শহরে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও)-র বৈঠকে শি এবং পুতিনের সাথে যোগ দেবেন ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান এবং আরও কয়েকটি দেশের নেতারা।

প্রধান শীর্ষ সম্মেলনের দিন হল আগামীকাল, তবে আজ রুশ ও চীনা নেতার একটি বৈঠক হচ্ছে, যেটা সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

শি ও পুতিন আজ বৃহস্পতিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সাথে, এবং শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তুর্কি নেতা রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সাথে দেখা করবেন।

ইরান একটি এসসিও পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র এবং এরদোগান রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শস্যের চালানের মতো ইস্যুতে চুক্তির মূল মধ্যস্থতাকারী।

শীর্ষ সম্মেলনের প্রধান যৌথ অধিবেশন শুক্রবার হলেও বেশিরভাগ ফোকাস থাকবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাগুলোর উপর।

পুতিন এই শীর্ষ সম্মেলনে দেখানোর সুযোগ পাচ্ছেন যে, রাশিয়াকে কোনোমতেই আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। এমন একটি সময়ে এ সম্মেলন হচ্ছে, যখন রুশ বাহিনী ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে।

অন্যদিকে, আগামী অক্টোবরে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ কংগ্রেসের আগে বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে নিজের সক্ষমতার প্রমাণ তুলে ধরার জন্য এ সম্মেলন শিকেও একটি সুযোগ এনে দিয়েছে। চীন থেকেই ছড়ানো করোনাভাইরাস বিশ্বমারী শুরুর পর এটিই শির প্রথম বিদেশ সফর।

উভয় নেতার জন্য শীর্ষ সম্মেলনটি পশ্চিমের, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর একটি সুযোগ করে দেবে। ইউক্রেনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রদর্শন বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করেছে।

ক্রেমলিনের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ এই সপ্তাহে মস্কোতে সাংবাদিকদের বলেছেন এসসিও পশ্চিমা-কেন্দ্রিক সংস্থাগুলির একটি বাস্তব বিকল্প প্রস্তাব।

তিনি বলেন, এসসিওর সকল সদস্য একটি ন্যায়সঙ্গত বিশ্বব্যবস্থার পক্ষে দাঁড়িঁয়েছে। তিনি বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলন বড় আকারের ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের পটভূমিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

চীন, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান এবং প্রাক্তন সোভিয়েত মধ্য এশীয় কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তান নিয়ে এসসিও গঠিত। বিগত ২০০১-এ পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য একটি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা সংস্থা হিসাবে এসসিও প্রতিষ্ঠিত হয়।

এটি ন্যাটোর মতো আনুষ্ঠানিক সামরিক জোট নয় বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো গভীরভাবে সমন্বিত ব্লকও নয়, তবে এর সদস্যরা যৌথ নিরাপত্তা সমস্যা মোকাবেলা করতে, সামরিকভাবে সহযোগিতা করতে এবং বাণিজ্যকে উন্নীত করতে একসঙ্গে কাজ করে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Video