মরিয়ম আক্তার
সামিরা (১৭) নামের এক গার্মেন্টসকর্মী কিশোরীকে গলায় মুহুর্মুহু ছুরিকাঘাত করে হত্যা
করে তার প্রেমিক রাজমিস্ত্রী মো. তারেক। শুক্রবার রাত ৯টার সময় এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম
নগরীর পাঁচলাইশ থানার হাদুমাঝির পাড়াস্থ মুছা বিল্ডিংয়ের সামনে বিলের পাশে ছুরিকাঘাত
করে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর হত্যাকারী পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিক্টিম
সামিরাকে উদ্ধারপূর্বক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার
তাকে মৃত ঘোষণা করে। হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত প্রাথমিক তদন্তে নেমে জানতে
পারে ভিক্টিম ও হত্যাকারীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ায় হত্যাকারী তারেক
গতরাতে সামিরাকে ফোন করে দেখা করার জন্য ডেকে নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
হত্যাকাণ্ডের
৬ ঘন্টার মধ্যেই পাঁচলাইশ থানা পুলিশ শুক্রবার রাত আনুমানিক ৩টার সময় চট্টগ্রাম জেলার
রাঙ্গুনিয়া থানাধীন চন্দ্রঘোনাস্থ লিচুবাগান আহমদুল হকের কলোনিস্থ আসামির নানার বাড়ি
থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামির দেখানো ও সনাক্তমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত
একটি ছোরা ও ভিক্টিমের পরিহিত এক জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। প্রাথমিক
জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে।
হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত প্রাথমিক তদন্তে নেমে জানতে পারে ভিক্টিম ও হত্যাকারীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষিতে হত্যাকারী তাকে ফোন করে দেখা করার জন্য ডেকে নেয়। আসামি তারেক আগে থেকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে একটি ছুরি কিনে তার সাথে রাখে। তাদের দেখা হওয়ার পর তাদের মধ্যে সম্পর্কের দূরত্ব সৃষ্টির বিষয়ে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। এই সময় আসামি তাকে অন্য কারো সাথে সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করে ঝগড়া করতে থাকে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে আসামি ভিক্টিমের গলায় একের পর এক ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এই বিষয়ে ভিক্টিমের ভাই মো. পারভেজ উদ্দিন বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি এজাহার দায়ের করে।
- মা.ফা.
মন্তব্য করুন