দি চিটাগাং চেম্বার
অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র উদ্যোগে কাস্টম পলিসি, এইচ.এস.কোড এবং
শুল্ক কর বিষয়ক মতবিনিময় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এমএ লতিফ এমপি।
২২ ফেব্রুয়ারি
বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে আয়োজিত
এ মতবিনিময়ে সভাপতিত্ব করেন চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম। এ সময় চেম্বার সহ-সভাপতি
সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, চেম্বার পরিচালক একেএম আক্তার হোসেন, অঞ্জন শেখর দাশ ও মোহাম্মদ
আদনানুল ইসলামসহ বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশন, বারভিডা, বেপজিয়া’র প্রতিনিধি এবং
বিভিন্ন সেক্টরের শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি
এমএ লতিফ এমপি বলেন, ব্যবসায়ীরা যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে তেমনি দেশের রাজস্ব আয়ের
বড় যোগানও দিচ্ছে। তাই সরকারের রাজস্ব প্রদানকারী ব্যবসায়ী সমাজের প্রতি সরকারি নিয়মকানুন
যেমন সহজ হওয়া প্রয়োজন তেমনি ব্যবসায়ীদেরও উচিত যুগোপযোগী ও আধুনিক পদ্ধতিগত পরিবর্তনে
এগিয়ে আসা। এছাড়া বিনিয়োগ ও ব্যবসা পরিচালনায় হয়রানী ও দীর্ঘসূত্রিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর তুলে ধরতে ব্যবসায়ীদের সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান
জানান তিনি।
চেম্বার সভাপতি
মাহবুবুল আলম বলেন, চিটাগাং চেম্বার ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে সবসময় ব্যবসায়ী
সমাজের সহযোগী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। সম্প্রতি ব্যবসায়ী সমাজ এই আমদানি-রপ্তানির
ক্ষেত্রে নানারকম সমস্যা, বাধা বিঘ্ন ও হয়রানীর সম্মুখীন হচ্ছেন বলে আমাদের জানাচ্ছে।
তাই চিটাগাং চেম্বারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ট্রেডবডির প্রতিনিধিবৃন্দ, আমদানিকারক এবং
সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সদস্যদের নিয়ে তাদের মূল্যবান পরামর্শ ও সুপারিশমালা জাতীয় রাজস্ব
বোর্ডের কাছে প্রেরণের উদ্দেশ্যে এই মতবিনিময় বৈঠকের আয়োজন।
ব্যবসায়ীরা বলেন, একটি দেশ একটি সংবিধান হলেও ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে করা হচ্ছে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন শুল্ক বিধান। ফলে কিছু অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এইচএস কোডের কারণে হয়রানীর শিকার হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এক্ষেত্রে এইচএস কোডকে অবমূল্যায়ন করে জরিমানা করা হচ্ছে। তাই যারা মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আনে তাদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। এছাড়া আমদানিতে কোন কোন ক্ষেত্রে এডভান্স ট্যাক্স নেয়া হলেও তা রিফান্ডের সময় জটিলতা তৈরি হচ্ছে। চলমান ইপিজেডগুলোতে যন্ত্রপাতি আমদানি ও সরবরাহের ক্ষেত্রে নিয়মকানুন থাকলেও দেশের বৃহৎ ইকোনমিক জোনে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এসব সমস্যা সমাধানে সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ব্যবসায়ীরা।
- মা.ফা.
মন্তব্য করুন