চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড
উপজেলার সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে বিস্ফোরণের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান চলছে।
৫ মার্চ রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে অভিযান শুরু করে সংস্থাটির কুমিরা স্টেশনের সদস্যরা।
ফায়ার সার্ভিস
চট্টগ্রামের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে সকাল নয়টার দিকে আগ্রাবাদ
স্টেশনের আরও একটি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা জানান,
সকাল পর্যন্ত আর কোনো মরদেহ শনাক্ত হয়নি।
ফায়ার সার্ভিসের
সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক জানান, ‘এ পর্যন্ত ৩৩
জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে যেসব সিলিন্ডার দেখা গেছে, সেগুলো
অনেক সময় পরীক্ষা করা হয় না। বিস্ফোরণের বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। প্রাথমিকভাবে সিলিন্ডার
থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে ধারণা করছি। মালিকপক্ষের কারও সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা যায়নি।’
পুলিশ জানায়,
শনিবার বিকেল পর্যন্ত বিস্ফোরণের ঘটনায় ৬ জন প্রাণ হারায়। নিহতরা হলেন- ভাটিয়ারীর
কদমরসুল এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে শামছুল আলম (৫৬), বিএমএ গেইট বানু বাজার এলাকার
আবুল বাসারের ছেলে ফরিদ (৩৬), নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানার মিকি রোঙ্গী লখরেটের ছেলে
রতন লখরেট (৪৫), নোয়াখালীর অলিপুর এলাকার মৃত মকবুল আহমেদের ছেলে মো. আবদুল কাদের
(৫৮), লক্ষীপুরের কমল নগর থানার মহিদুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (৩৩) ও অজ্ঞাত একজন।
ফায়ার সার্ভিসের তিনটি স্টেশনের নয়টি গাড়ি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। প্রথম দিনের উদ্ধার অভিযান চলে প্রায় ৫ ঘণ্টা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দুর্ঘটনায় নিহতদের দাফন ও আহতদের চিকিৎসার জন্য তৎক্ষণাৎ সহায়তা প্রদান করেছে বলেও জানা যায়।
- ই.হো.
মন্তব্য করুন