চট্টগ্রাম সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
চট্টগ্রাম সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

দুর্ঘটনা

ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে। মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ৩টি ইউনিট প্রায় আধাঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

মিরসরাইয়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৩০ দোকানঘর পুড়ে ছাই, কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২০২৩ মে ০৪, ০৪:৫৮ অপরাহ্ন
মিরসরাইয়ে জোরারগঞ্জ বাজারের উত্তর পাশে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড।

সবকিছু ঠিকঠাক ছিলো। বিভিন্ন পণ্যে সুসজ্জিত ছিলো পুরো দোকানঘর। সারাদিনের বিকিকিনি শেষে দোকান বন্ধ করে রাত্রি যাপনের জন্য বাড়ী গেছেন দোকানিরা। কিন্তু কে জানতো এর কয়েকঘন্টা পর খবর আসবে দোকানে আগুন লেগে স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার। তেমনি ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জে। এসময় আগুনে পুড়ে ভষ্মীভূত হয়েছে ৩০ দোকানঘর।

 

৩ মে বুধবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে জোরারগঞ্জে বাজারের জে.বি. স্কুল সংলগ্ন প্রজেক্ট রোড তেমুহানী এলাকায় ইদ্রিচ বলী মার্কেটে ভয়াবহ এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনের লেলিহান শিখা মুহুর্তের মধ্য দাউ-দাউ করে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে মার্কেটে থাকা ৩০টি দোকানঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে মিরসরাই স্টেশনের ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর রাত ১ টা ৩০ মিনিটের সময় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু এরমধ্যে দোকান ঘরের চাল এবং বেড়ার পোড়া টিন ছাড়া অবশিষ্ট কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এতে করে প্রায় কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেছেন জোরারগঞ্জ বাজার উন্নয়ন কমিটির সভাপতি প্রসার কান্তি বড়ুয়া।



 

অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ফার্ণিচার ব্যবসায়ী জামশেদ আলম জানান, ওয়ার্কশপের ওয়েল্ডিংয়ের মেশিনের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে আমার দোকানসহ ৩০টি দোকানঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে করে আমার ১০ লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী মো. মঞ্জু জানান, ৮ লক্ষ টাকা ঋণ করে সাউন্ড সিস্টেম কিনেছিলাম এখন আমার সব শেষ।

 

এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাষ্টার জানান, অগ্নিকান্ডের খবর শুনে দ্রুত পৌঁছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে কাজ করেছি। আগুনে পুড়ে ফার্ণিচার, ফার্মেসী, সাউন্ড সিস্টেম, কুলিং কর্ণার, মোটর সাইকেল সার্ভিসিং, থাই এ্যালুমিনিয়াম, মেকানিক, টেইলার্স দোকানসহ মোট ৩০টি দোকানঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় আমরা কাজ করবো।

 

মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার ইমাম হোসেন পাটোয়ারী জানান, অগ্নিকান্ডের খবর পাওয়ার পর স্টেশনের ৩টি ইউনিট প্রায় আধাঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে করে ৩০টি দোকান পুড়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।


- নাছির উদ্দিন/মিরসরাই 

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Video