আমরা প্রবীণ দিবস পালন করি প্রবীণদের সম্মাননা দেওয়ার জন্য। আলাদা করে ভাবার জন্য এবং আমাদের চিন্তার জগতকে খোরাক দেওয়ার জন্য দিবসটি পালন করা হয়। প্রবীণ দিবস সমাজের প্রত্যেকটা লোকের এবং প্রত্যেকটা পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত। ৩২তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস ২০২২ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন একথা বলেন।
১ অক্টোবর চট্টগ্রাম সমাজসেবা অধিদপ্তর আয়োজিত "পরিবর্তিত বিশ্বে প্রবীণ ব্যক্তির সহনশীলতা'' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি আরো বলেন, একসময় আমরা প্রত্যেকে শিশু ছিলাম, কিশোর ছিলাম। আপনারা একটু ভেবে দেখেন, মা-বাবারা কত না আদর-যত্ন করে আমাদের বড় করেছেন। পিতা-মাতার আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকলেও সর্বোচ্চ শ্রম দিয়ে চেষ্টা করেছেন ছেলে-মেয়ের ভরনপোষণ মেটাতে। কিন্তু চাকরি পাওয়ার পর ছেলে নতুন জীবন শুরু করে। একসময় দেখা যায় অনেকে সামর্থ্য না থাকার কারণে মা-বাবার ভরনপোষণ ঠিকমত করতে পারে না। আবার অনেকক্ষেত্রে সামর্থ্য থাকা সত্বেও তাঁদের দূরে সরিয়ে দেয়। এ সব কারণে দেশে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বৃদ্ধনিবাস, শান্তিনিবাস নামে বিভিন্ন প্রকার প্রতিষ্ঠান। দেশে প্রবীণদের সংখ্যা বাড়ছে। তাই আমি মনে করি সরকারের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান প্রবীণদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
নগরীর সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক কাজী নাজিমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন, আঞ্চলিক তথ্য অফিস চট্টগ্রাম এর সিনিয়র তথ্য অফিসার মারুফা রহমান ঈমা, বিশিষ্ট সংগীত ব্যক্তিত্ব জয়ন্তী লালা, ফরিদুল আলমসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। সভায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রবীণদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এসময় প্রেস ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়া সাংবাদিকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
- মা.ফা
মন্তব্য করুন