বাংলাদেশের স্থপতি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণের চেষ্টা করেছেন,
কিন্তু শেষ করে যেতে পারেন নি। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে বর্তমান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণে
বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে হবে। আর স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে
স্মার্ট নাগরিকের পাশাপাশি স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থপনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন ভূমিমন্ত্রী
নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
১২ জুন বুধবার
সকালে চট্টগ্রাম নগরীর এম.এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম হলে ভূমি সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে
আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ:
স্মার্ট ভূমিসেবা ও ভূমি ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক আলোচনা
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ভূমিমন্ত্রী বলেন,
দেশের মানুষ যদি স্মার্ট ভূমিসেবা সম্পর্কে না জানে তাহলে আমাদের একার পক্ষে এটা অনেক
সময়সাপেক্ষ হয়ে উঠবে। আমরা যারা শিক্ষিত তারাও ভূমির অনেক বিষয়ে জানি না। তাই নবম শ্রেণির
পাঠ্যবইয়ে ভূমি সংক্রান্ত বেশকিছু বিষয় রাখা হয়েছে। যাতে অন্তত কেউ নবম শ্রেণি পযর্ন্ত
পড়লেও ভূমি সংক্রান্ত কিছু ধারণা পেয়ে যায়। অনলাইনের মাধ্যমে একজন গ্রাহক যাতে ঘরে
বসে ভূমিসেবা নিতে পারে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, যেভাবে
মানুষ জমি, পুকুর ভরাট করে ঘর তৈরি করছে তাতে আজ থেকে ৫০ বছর পর আর কোন কৃষি জমি অবশিষ্ট
থাকবে না। শুধু ঘর থাকলে হবে না আপনাকে দু’বেলা ভাতও খেতে
হবে। তাই কৃষি জমি, নদী ও পুকুর সংরক্ষণের বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। নদীর পাড় কোনভাবেই
ভরাট করা যাবে না।
এসিল্যান্ড অফিসারদের
উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনার অফিসে আসা প্রত্যেক নাগরিককে সম্মান দিয়ে কথা বলবেন। তাদের
সমস্যাগুলো মনোযোগ সহকারে শুনে কিভাবে তা সমাধান করা যায় সে ব্যাপারে পরামর্শ দিবেন
এবং আপনারা জনগণের কাছে স্মার্ট ভূমিসেবার বিষয়টি ভালো করে বুঝিয়ে বলবেন। ফলে অদূর
ভবিষ্যতে ভূমি সংক্রান্ত মামলা মোকদ্দমা একেবারে কমে যাবে। জনগণকে খুব প্রয়োজন ছাড়া
ভূমি অফিসে যেতে হবে না।
আলোচনা সভায় জেলা
প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান’র সভাপতিত্বে
স্বাগত বক্তব্যে রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ফাতেমা চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে
বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) এমদাদুল
হক চৌধুরী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার
আ স ম মাহতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায় বক্তৃতা করেন। এসময় অসংখ্য
ভূমি সেবাগ্রহীতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে মন্ত্রী ভূমিসেবা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন এবং ভূমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে চেক বিতরণ করেন। এছাড়াও মহানগরে ভূমিসেবা প্রদানকারী বিভিন্ন সার্কেলের ভূমি অফিসের মাঝে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের মাঝে সনদ প্রদানের শেষে তিনি ভূমিসেবার সকল স্টল ঘুরে দেখেন।
- মা.ফা.
মন্তব্য করুন