শেখ কামাল ছিলেন অদম্য বিনম্র সংস্কৃতিবান। ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী ও সংগঠক হিসেবে ছয়দফা, এগার দফা আন্দোলন ও ৬৯’র অগ্নিঝরা গণআন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি। অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতার অধিকারী শেখ কামাল ক্রীড়া, সংস্কৃতি, সংগীত চর্চা, অভিনয়, বিতর্ক ও উপস্থিত বক্তৃতা থেকে শুরু করে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। জাতির জনকের জ্যেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
৫ অগাস্ট সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজ কল্যাণ ষ্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম। উপস্থিত ছিলেন-কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক, সাহেদ ইকবাল বাবু, হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, শৈবাল দাশ সমুন, পুলক খাস্তগীর, নুর মোস্তফা টিনু, সংরক্ষিত কাউন্সিলর তসলিমা বেগম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রাণী চাকমা, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু প্রমুখ। মিলাদ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সিটি কর্পোরেশনের মাদ্রাসা পরিদর্শক মাওলানা মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে
আরো বলেন, জাতির পিতার সন্তান হওয়া সত্ত্বেও সরকারি কোন পদ পদবি ও ক্ষমতার প্রতি তাঁর
আকর্ষণ ছিলনা। ক্রীড়াঙ্গনে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন শেখ কামাল।
তিনি আরো বলেন, ১৫ আগষ্ট আমরা তাঁকে হারিয়েছি। তিনি যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে জাতির পিতার স্বপ্ন বহু আগে বাস্তবায়িত হতো। মেয়র শেখ কামালসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। মিলাদ ও আলোচনা শেষে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, কাউন্সিলরগণ ও কর্মকর্তা-কর্মাচারীদের সাথে নিয়ে সিটি কর্পোরেশন চত্বরে স্থাপিত শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
- মাঈন উদ্দিন সোহেল
মন্তব্য করুন