সেদিন ঘাতকরা শুধু জাতির পিতাকে হত্যা করেনি। তারা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে ও শিশুপুত্র শেখ রাসেলকেও হত্যা করেছিল। কি অপরাধ ছিলো শেখ রাসেলের? আমরা খুনীদের বিচার করেছি কিন্তু খুনের পরিকল্পনাকারীদের বিচার এখনো হয়নি। সময় এসেছে বঙ্গবন্ধুর খুনের পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করার।
৫ আগস্ট বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিট আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ৬দিন ব্যাপী শোকাঞ্জলি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্ত্যবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
মন্ত্রী আরো বলেন, তারা জানতো বঙ্গবন্ধুর রক্ত বেঁচে থাকলে বাঙালি একদিন ঘুরে দাঁড়াবে, খুনীদের বিচার একদিন হবেই। আজকে ঠিক সেটাই হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বঙ্গবন্ধুহীন বাংলাদেশে অনেক ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে এক নজর দেখার জন্য বিমান বন্দরে ছুটে গিয়েছিল হাজারো বাঙালি। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন ছিলো বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দেখে যাওয়ার। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের স্বপ্ন সার্থক হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন “কেউ তোমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না” বঙ্গবন্ধুকন্যা সেটিই করে দেখিয়েছেন।
পরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এ শোকাঞ্জলি অনুষ্ঠানটি প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান, পুলিশ কমিশনার কুষ্ণপদ রায়, পুলিশ সুপার এস.এম রশিদুল হক। এসময় অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন।
- মাইশা ফাইরোজ
মন্তব্য করুন