১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের কালরাত্রিতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে মাত্র ছাব্বিশ বছর বয়সে কতিপয় সেনা সদস্যের প্রথম গুলিতে ক্যাপ্টেন শেখ কামাল শহীদ হয়েছিলেন। তিনি একাধারে শিক্ষা, রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনে অসাধারাণ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে গেছেন। তিনি আবাহনী প্রতিষ্ঠা করে ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিদেশী কোচ নিয়োগ দিয়েছিলেন যা ছিল উপমহাদেশের প্রথম বিদেশী কোচের নিয়োগ। তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে আইকন হিসেবে হাজার বছর বেঁচে থাকবেন।
৫ আগস্ট চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন এবং শেখ কামালের স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, পুলিশ সুপার এস.এম রশিদুল হক। বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, প্রেস ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ অন্যন্যারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, জেলা তথ্য অফিসসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারি দপ্তর এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাঁর আত্মার শান্তি ও দেশবাসির মঙ্গল কামনা করে নগরীর বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডায় দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।
- মাইশা ফাইরোজ
মন্তব্য করুন