চট্টগ্রাম বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১
চট্টগ্রাম বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১

চট্টগ্রাম সংবাদ

জিয়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ধরে ধরে হত্যা করেছে, অনেককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মেরেছে, কিন্তু ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি।

যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দেশকে পাপমুক্ত করেছেন

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২০২২ আগস্ট ১১, ০২:২৮ অপরাহ্ন
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনবাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন বলেই আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্র পেয়েছি। তাঁর জন্ম না হলে আজ আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারতাম না। খুনি জিয়া-মোস্তাকসহ ৭১এ যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নেয়নি তারাই ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। চট্টগ্রামে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান এমপি।

 

তিনি বলেন, জিয়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ধরে ধরে হত্যা করেছে, অনেককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মেরেছে, কিন্তু ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। চট্টগ্রামেই তাকে জীবন দিতে হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনীদের উপযুক্ত বিচারের মাধ্যমে দেশকে পাপমুক্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনী যারা এখনো বিদেশে পলাতক রয়েছে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যে সকল রাজাকার, আল-বদর এদেশের মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করেছে সে সকল ধর্ষকদেরও বিচার সময়ের ব্যাপার। দেশের স্বাধীনতা বিরোধী ও বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যার মদদদাতাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

 

১০ অগাস্ট বিকেলে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিট কমান্ডের যৌথ উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন চত্ত্বরে আয়োজিত সমাপনী দিনের আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।

 

সিএমপি কমিশনার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অত্যন্ত দুরদর্শী নেতা ছিলেন। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আজীবন যুদ্ধ করে গেছেন তিনি। যে ব্যক্তি আজীবন দেশের স্বাধীনতা ও এদেশের মানুষের জন্য ত্যাগ করে গেছেন তাঁকেই সপরিবারে নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয়েছে। এ বর্বরতম হত্যাকান্ডের পরও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারাই আজ ইতিহাস বিকৃত করছে। নতুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। শোককে শক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের মহাসড়কে সামিল হতে হবে।

 

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালে তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। বঙ্গবন্ধু এ দেশের মাটি ও মানুষকে যেভাবে গভীর ভালোবাসার বন্ধনে উজ্জ্বীবিত করেছিলেন তা বিশ্বের ইতিহাসে নজির। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ কখনও স্বাধীন হতো না। যারা এ দেশের স্বাধীনতা সহ্য করেনি তারাই ৭৫-এর ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। জাতির পিতা হত্যাকারী, মদদদাতা ও ইতিহাস বিকৃতকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা জরুরী।

 

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম সোলতান আহমদ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক ও সামরিক বিশ্লেষক মেজর (অব.) মো. এমদাদুল ইসলাম ও সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল দুলু, মহানগর ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম (যুদ্ধাহত), সাতকানিয়া থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের এলএমজি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. সরোয়ার আলম চৌধুরী মনি ও মহানগর কমিটির আহবায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু।

 

সমাপনী দিনে শোক সভায় চট্টগ্রামের সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন। 


- অভ্র হোসাইন

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Video