বহির্গমন
ছাড়পত্র প্রদানের ক্ষেত্রে প্রবাসীর ব্যাংক হিসাব নম্বর জমা এবং মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট
প্রদানে বাধ্যবাধকতা করে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ
ব্যুরো (বিএমইটি)। বিদেশ থেকে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রেরণ বৃদ্ধি এবং জাল চিকিৎসা
সনদ রোধের জন্য সরকার এ ব্যবস্থা নিয়েছে।
একজন
প্রবাসী কর্মীকে বর্তমানে বহির্গমন ছাড়পত্র আবেদনের সাথে বিএমইটি-তে
১০টি বিষয়ে কাগজপত্র জমা দিতে হয়। নতুন বিজ্ঞপ্তি জারির ফলে এখন থেকে ১২টি বিষয়ে কাগজপত্র
জমা দিতে হবে।
চট্টগ্রাম
জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস সূত্র জানায়, গত ৪ অক্টোবর জনশক্তি কর্মসংস্থান ও
প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)’র মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিদেশ
থেকে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রেরণসহ যাবতীয় আর্থিক লেনদেনের সুবিধার্থে প্রবাসী
কর্মীকে তাঁর নিজ নামে একটি এবং পরিবারের নামে আরো একটিসহ মোট দুটি ব্যাংক হিসাব নম্বর
বিএমইটি বহির্গমন ছাড়পত্র আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে।
একই
সাথে জমা দিতে হবে বিদেশ যাওয়ার প্রাক্কালে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়
অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার থেকে গৃহীত কর্মীর মেডিকেল টেস্ট রিপোর্টের প্রথম পৃষ্ঠার
ফটোকপি। রেমিটেন্স বৃদ্ধি এবং জাল মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট ঠেকাতে সরকার এ সিদ্ধান্ত
নিয়েছে।
সূত্র
আরো জানায়, বহির্গমন ছাড়পত্র আবেদনের ক্ষেত্রে বর্তমানে একজন প্রবাসী কর্মীকে ১০টি
বিষয়ে কাগজপত্র জমা দিতে হয়। কাগজগুলো হচ্ছে: ১. তিন দিনের প্রাক্ বহির্গমন প্রশিক্ষণ
সনদ; ২. কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদসহ আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট; ৩. ভিসা; ৪. চাকরির চুক্তিপত্র;
৫. যেদেশে কর্মী যাবেন, সেখানকার দূতাবাসের সত্যায়িত কাগজপত্র; ৬. ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ
তহবিলের অনুকূলে সাড়ে তিন হাজার টাকার পে-অর্ডার; ৭. ভিসা সত্যায়িত থাকলে ২৫০ টাকার
পে-অর্ডার, সত্যায়িত না থাকলে দেশভিত্তিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার পে-অর্ডার; ৮. তিনশ টাকার
নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা; ৯. ৪৯০ টাকার বীমার পে-অর্ডার; এবং ১০. বায়োমেট্রিক
আঙুলের ছাপযুক্ত বিএমইটি’র নিবন্ধীকরণ।
তবে,
বিএমইটি’র
নতুন জরুরি বিজ্ঞপ্তির ফলে এখন থেকে একজন প্রবাসী কর্মীকে ১২টি বিষয়ে কাগজপত্র জমা
দিতে হবে। চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল
আলম মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, “মূলত হুন্ডি রোধ করে দেশে রেমিটেন্স বৃদ্ধি এবং জাল মেডিকেল টেস্ট
রিপোর্ট বন্ধের লক্ষ্যে বিএমইটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে প্রবাসীরা উপকৃত হওয়ার
পাশাপাশি দেশের রেমিটেন্স প্রবাহ আরো বাড়বে।”
তিনি আরো বলেন, “বর্তমানে বিএমইটি’র জরুরি বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে প্রবাসীসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি, এবং সরকার যেদিন থেকে এটি কার্যকর করতে বলবে, সেদিন থেকেই এটা কার্যকর করা শুরু করবো।”
মন্তব্য করুন