মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার রাবার ও রাবারভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন
ও প্রসারে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের রাবার শিল্প
এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় অর্থনীতিতে রাবার শিল্পের অবদান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে
উৎপাদিত উন্নতমানের রাবার অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। চট্টগ্রামে
১ম রাবার ও রাবারভিত্তিক শিল্পপণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এসব কথা বলেন।
৭ সেপ্টেম্বর
বুধবার চট্টগ্রাম এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে বাংলাদেশ রাবার বোর্ড-এর
আয়োজনে ১ম প্রাকৃতিক রাবার ও রাবারভিত্তিক শিল্পপণ্য মেলা-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান। বিশেষ অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন
নাহার, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রামের
বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিটের পরিচালক ড. রফিকুল
হায়দার এবং এফবিসিসিআই পরিচালক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন।
পরিবেশমন্ত্রী
বলেন, বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট রাবার ও রাবারভিত্তিক শিল্পের সম্প্রসারণ ও বিকাশের
লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা কার্যক্রম সফলভাবে সম্পাদন করেছে। এ খাতের উন্নয়ন হলে
দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে, বেকার সমস্যা সমাধানে ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ
বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রায় ৪০ হাজার একর জমিতে ১৮ টি রাবার বাগান সৃজন করেছে।
বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি ৩৩ হাজার একর জমি রাবার চাষের
জন্য লিজ দেয়া হয়েছে। খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটিসহ দেশের ১২টি জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম
উন্নয়ন বোর্ডের ১৩ হাজার ২ শত একর জমিতে রাবার চাষের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন
ও বাস্তবায়নে কাজ করছে রাবার বোর্ড। রাবার চাষের সাথে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণ সংগঠিত
হয়ে এ খাতটির উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহবান জানান মন্ত্রী।
সিনথেটিক রাবার
আমদানী না করে দেশীয় প্রাকৃতিক রাবার ব্যবহারের জন্য রাবারভিত্তিক শিল্প উদ্যোক্তাদের
প্রতি আহবান জানান তিনি। তাতে কার্বন শোষণের পরিমাণ বাড়বে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাস
করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায়
গ্লোবাল কার্বন ট্রেডিং এবং এনভাইরন্টাল ফান্ড থেকে সহায়তা নেওয়া সম্ভব হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের
পরে মন্ত্রী মেলা ঘুরে দেখেন। মেলায় বিভিন্ন স্টলে রাবার ও রাবারজাত পণ্য পরিদর্শন
করেন। মেলা ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
- মা.ফা
মন্তব্য করুন