ঈদুল আজহার কেন্দ্রীয় জামাতের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত
চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ ঈদগাহ ময়দান। কেন্দ্রীয় ঈদ জামাতের জন্য জমিয়তুল ফালাহ
ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৭:৩০ ও ৮:১৫ টায় দু’টি জামাতে নামাজের
ব্যবস্থার পাশাপাশি মুসল্লিদের সুবিধার্থে পর্যাপ্ত ফ্যান আর সামিয়ানা থাকবে। অজু
করার জন্য মসজিদের অজুখানাসহ অতিরিক্ত গাড়িতে পানির সুব্যবস্থা করা হয়েছে।
নিরাপত্তার জন্য থাকছে সিসিটিভি মনিটরিংসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষিত
সদস্যরা। একইসাথে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ওয়ার্ডগুলোতে ঈদ জামাত
অনুষ্ঠিত হবে।
১৫ জুন শনিবার জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের মাঠ পরিদর্শনকালে একথা
বলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল
মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, আবদুস সালাম মাসুম, মেয়রের
একান্ত সচিব আবুল হাশেম।
মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ৯টি মসজিদে সকাল
সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মসজিদগুলো হল যথাক্রমে লালদিঘী সিটি কর্পোরেশন
শাহী জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (রঃ) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে
মসজিদ, চকবাজার সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ,
দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান
জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ
(সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন)। এবং নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট
ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া
মুরাদপুরের মুহাম্মদপুরে ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য একটি ঈদগাহ নির্মাণও করা হয়েছে।
মেয়র আরো জানান, বৃষ্টিতে যাতে নামাজ বিঘ্নিত না হয় সেজন্য মসজিদের
আশপাশের নালাগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। তবে অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে পানি উঠলে মসজিদের
ভিতরেই জামাত আদায় করা হবে।
সাত ঘন্টার মধ্যে নগরীকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রস্তুতি নিয়েছে বলেও মেয়র জানান।
- মা.ফা.
মন্তব্য করুন