চট্টগ্রামের মিরসরাই
থানার চাঞ্চল্যকর জিয়াউল হাসান জুয়েল হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি হাজী আবুল বশরকে
চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
১০ ডিসেম্বর রবিবার
সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৭ আসামি হাজী আবুল বশর
(৬০), পিতা- মৃত জালাল আহম্মদ, সাং- রাজাপুর, থানা-মিরসরাই, জেলা-চট্টগ্রাম কে চট্টগ্রাম
মহানগরীর বন্দর থানাধীন কাজী পাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের
সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে পূর্ব বিরোধের জেরে অন্যান্য সহযোগী আসামিদের
সহায়তায় দেশীয় অস্ত্র ছুরি, রামদা দিয়ে ভিকটিম জিয়াউল হাসান জুয়েলকে শরীরের বিভিন্ন
স্থানে কুপিয়ে হত্যা করে মৃতদেহ রাস্তা সংলগ্ন জলাশয়ে ফেলে দেয় বলে অকপটে স্বীকার করে।
মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে সে এলাকা ছেড়ে
আত্মগোপনে চলে যায়।
উল্লেখ্য নিহত ভিকটিম জিয়াউল হাসান জুয়েল (২২) চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানাধীন মিঠানালা এলাকার মো. আলমগীর এর ছেলে। তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে কিছুদিন পূর্বে নিহত ভিকটিম জিয়াউল হাসান জুয়েল-এর সাথে স্থানীয় আবুল বশর এবং তার অন্যান্য সহযোগীদের বাকবিতন্ডা হলে আবুল বশর এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা ভিকটিম জিয়াউল হাসান জুয়েল’কে হত্যার হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে গত ২৯ নভেম্বর ২০২৩ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আবুল বশর এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা দেশী ধারালো অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিরসরাই থানাধীন রাজাপুর নতুন রাস্তার মাথায় দোকানে চা পানরত অবস্থায় জিয়াউল হাসান জুয়েলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ভিকটিমের বাম পা কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করে মৃত্যু নিশ্চিত করার পর মৃতদেহ রাস্তার পাশে পানিতে ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। উক্ত চাঞ্চল্যকর ও হৃদয়বিদারক ঘটনাটি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
- মা.ফা.
মন্তব্য করুন