বঙ্গোপসাগরের
কুতুবদিয়া এ্যাঙ্করেজে এলপিজি বহনকারী লাইটারেজ জাহাজ সোফিয়ার আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
শনিবার রাত প্রায় ১ টার দিকে জাহাজটিতে আগুন লাগে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৩ টি অত্যাধুনিক
জাহাজসহ কোস্ট গার্ডের ১ টি জাহাজ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের ২ টি জাহাজের সম্মিলিত চেষ্টায়
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের
কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মাসুদ ইকবাল জানান, ক্যাপ্টেন নিকোলাস নামের একটি মাদার-ভেসেল
থেকে এলপিজি ডিসচার্জ করার সময় বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন লাইটারেজ জাহাজ সোফিয়ায়
আগুন লাগে। আগুন লাগার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে
কাজ শুরু করে বহিঃনোঙ্গরে টহলে থাকা নৌবাহিনী জাহাজ শাপলা। পরবর্তীতে নৌবাহিনীর আরও
২টি জাহাজসহ কোস্ট গার্ডের ১ টি জাহাজ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের ২ টি জাহাজ আগুন নিয়ন্ত্রণে
যুক্ত হয়। আগুনের তীব্রতার কারণে রাতে অগ্নিনির্বাপনের কাজ ঠিকভাবে করা যায়নি। আজ ভোরে
৬ টি জাহাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দীর্ঘসময় পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তিনি জানান, দ’টি জাহাজের ৩১
জন নাবিকের সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর
চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে রাখা হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে অগ্নিকাণ্ড কবলিত জাহাজ দু’টির বেশীরভাগ
এলপিজি আগুনে পুড়ে গেছে।
গত দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের জলসীমায় জ্বালানিবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের তৃতীয় ঘটনা এটি। গত ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের ডলফিন জেটিতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন ‘বাংলার জ্যোতি’ নামের একটি অয়েল ট্যাংকারে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। ওই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। এরপর ৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে ‘বাংলার সৌরভ’ নামের বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন আরেকটি তেলবাহী জাহাজে আগুন লেগে ১ জনের মৃত্যু ঘটে।
- মা.ফা.
মন্তব্য করুন