সকল নাগরিকের
আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার সর্বজনীন পেনশন স্কিম ব্যবস্থা
চালু করেছে। এটি বাস্তবায়নে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত এ জেলায়
সাড়ে ৯ হাজার ব্যক্তি পেনশন স্কিমের আওতায় এসেছেন। এটি প্রত্যেক নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত
করবে বলে মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
২২ এপ্রিল সোমবার
সকালে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদস্থ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু হলে দি চিটাগাং
চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ‘ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট
প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে সর্বজনীন পেনশন স্কিম: সচেতনতা ও স্পর্ট রেজিস্ট্রেশন’ বিষয়ক আলোচনা
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিসি বলেন, বাংলাদেশে
সর্বজনীন পেনশন স্কিম একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি একটি রাষ্ট্রীয় কর্মসূচী। সর্বজনীন
পেনশনের আওতায় আপাতত চার ধরণের স্কিম চালু করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রবাসীদের জন্য প্রবাস
স্কিম, বেসরকারী চাকুরীজীবিদের জন্য প্রগতি স্কিম, অনানুষ্ঠানিক খাত অর্থ্যাৎ স্বকর্মে
নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা স্কিম ও নিম্নআয়ের মানুষের জন্য রয়েছে সমতা স্কিম।
সরকার গতবছর সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করার পর ব্যাপক সাড়া পড়লে একটি মহল এটি নিয়ে
বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাতে থাকে। পেনশন স্কিমের নামে না কি সরকার মানুষের পকেটের
টাকা নিয়ে যাচ্ছে। পেনশন স্কিমের সুবিধা কি তা দেশের মানুষ এখন বুঝতে পারছে।
তিনি বলেন, ১৮-৫০
বছর বয়সী সকল বাংলাদেশী নাগরিক এই পেনশন স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। তবে বিশেষ বিবেচনায়
পঞ্চাশোর্ধ নাগরিকগণ ১০ বছর নিরবচ্ছিন্ন জমা প্রদান করলে পেনশন সুবিধা পাবেন। সকল শ্রেণি-পেশার
মানুষের সুরক্ষায় এই সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হয়েছে। প্রবাসীরা প্রবাস থেকে অনলাইনে
পাসপোর্ট, ছবি, ব্যাংক একাউন্ট এবং তার নমিনির আইডি কার্ড ও ছবি দিয়ে সর্বজনীন পেনশন
স্কিমের সদস্য হওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। দেশে অবস্থানরত ১৮-৬০ বছর বয়সী
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিক তাদের আইডি কার্ড, ছবি, ব্যাংক একাউন্ট, নমিনির আইডি কার্ড
ও ছবি দিয়ে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সদস্য হতে পারবেন। ৬০
বছর পূর্ণ হওয়ার পর গ্রাহক যত বছর বেঁচে থাকবেন তত বছর পেনশন পাবেন এবং ৬০ বছর পূর্ণ
হওয়ার পর কোন ব্যক্তি মারা গেলে তার নমিনি ৭৫ বছর পর্যন্ত পেনশন পাবেন এবং ৬০ বছরের
আগে মারা গেলে তার নমিনি মুনাফাসহ জমাকৃত টাকা ফেরত পাবেন। জমা টাকার মধ্যে ৫০ শতাংশ
লোন পাবেন।
দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি ওমর হাজ্জাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনসা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাদি-উর রহিম জাদিদ, চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক, অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, অঞ্জন শেখর দাশ ও আকতার পারভেজ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা তাদের মতামত প্রদান করেন।
- মা.ফা.
মন্তব্য করুন