অতীতেও তারা দেশে
সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। এমনকি দশ ট্রাক অস্ত্র পাচার করে ভারতবর্ষেও তারা
অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। যে কথাটি আমরা এতদিন বলে আসছিলাম।
বিএনপি’র এমপি, মন্ত্রী, হাওয়া ভবন ও হাওয়া ভবনের বরপুত্র তারেক
রহমান অস্ত্র চোরাচালানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার সাথে বিএনপি
জড়িত ছিলো সেটি অনুপচেটিয়ার বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি
চট্টগ্রাম নগরীর সার্কিট হাউসে উন্নয়ন সমন্বয় সভার পূর্বে অনুপ চেটিয়া সম্প্রতি
একটি বেসরকারি টেলিভিশনে তৎকালীন বিএনপি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দশ ট্রাক অস্ত্র আনা
ও খালাসের ব্যাপারে সহযোগিতা করেছে বলে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের
জবাবে তথ্য ও সম্প্রচর মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক
আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আয়োজিত উন্নয়ন শীর্ষক সমন্বয় আলোচনা
সভায় তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা কোন পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছি না। আপনারা জানেন
বিএনপি সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এগুলো করে তারা আসলে দেশে একটি বিশৃঙ্খল
পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আপনারা দেখেছেন ইতোপূর্বের কর্মসূচির
নামে তারা গাড়িঘোড়া পুড়িয়েছে। আমাদের শান্তির সমাবেশের উপর হামলা চালিয়েছে। সরকারি
দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব দেশে কেউ যাতে শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করতে না পারে, সে
জন্য জনগণের পাশে থাকা। সেই কারণে আমাদের পক্ষ থেকে সারাদেশে শান্তির সমাবেশ করবো
এবং সতর্ক দৃষ্টি রাখবো। কারণ বিএনপি’র মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে
একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।
সংবিধানের দোহাই দিয়ে
বিরোধী দলের রাজনীতির দমনের চেষ্টা করছে সরকার বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খাঁনের এমন
বক্তব্যের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ আলোচনা সভায় আরো বলেন, আমরা যদি রাজনৈতিক দলকে
দমন করার চেষ্টা করতাম তাহলে বিএনপি তো এতো সমাবেশ করতে পারতো না। আমরা যখন বিরোধী
দলে ছিলাম, তখন আমাদেরকে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দুই পাশে কাঁটা তারের বেরা দিয়ে
সেখান থেকে বের হতে দিতো না। এমনকি আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা মেরে দিয়েছিল।
তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনাকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছুটে যেতে হয়েছে তাদের হামলা থেকে কর্মীদের রক্ষা
করার জন্য। তারা একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করেছে। কিবরিয়া
সাহেবকে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে, আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হামলা চালিয়ে হত্যা
করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কোন জনসভায় একটা পটকাও ফাটানো হয়নি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান। এসময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
- মা.ফা.
মন্তব্য করুন