চট্টগ্রাম রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
চট্টগ্রাম রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

চট্টগ্রাম সংবাদ

জঙ্গল সলিমপুরের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ১০ কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছে। এতে দুটো প্ল্যান রয়েছে প্রথমটি কিভাবে সন্ত্রাসীদের ধরতে হবে। আরেকটি হলো সেখানে যাতে অবৈধ স্থাপনার পুননির্মাণ না হয় এবং পাকা ফ্ল্যাট পাওয়ার বিষয়ে সেখানের মানুষকে আশ্বস্ত করা।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : রবিবার, ২০২৩ জানুয়ারী ০১, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আপনারা জানেন সলিমপুর নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আমরা ইতোমধ্যে গ্রহন করেছি এবং সেখানে কাজের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তারমধ্যে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেক পোস্ট বসানো। সেখানে অবৈধ দখলদাররা যে এলাকাটি দখল করে আছে সেটার উপর পুরো নিয়ন্ত্রন না হলেও অনেকটা নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সে কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেখানকার মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজকের এ সভার আয়োজন করা হয়েছে।

৩১ ‍ডিসেম্বর শনিবার নগরীর সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংক্রান্ত সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

 

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, জঙ্গল সলিমপুরে যে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে সেটাকে আরো শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী করা এবং কোন ধরনের নির্মাণ সামগ্রী সেখানে যাতে না যায় এ বিষয়টাকে নিশ্চিত করতে হবে। সব ধরনের ইউটিলিটিস বন্ধ করে দেওয়া যেমন ইলেকট্রিসিটি, পানি, গ্যাস, কারেন্ট ইত্যাদি। তাহলে সেখানে মানুষ অবধৈভাবে বসবাস করবে না। একইসাথে তাদেরকে আশ্বস্ত করা যে আমরা ন্যাশানাল হাউজিং অথরিটিকে জায়গা দিচ্ছি এবং তারা তোমাদের জন্য এখানে ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে। এখন তারা কাঁচা-পাকা ঘরে আছে, বেড়ার ঘরে আছে কিন্তু সরকার এ জায়গা নিলে তাদের জন্য একটা করে পাকা ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করে দেবে - এভাবে বললে তারা আশ্বস্ত হবে এবং সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেবে। পুলিশ প্রশাসনকেও সজাগ থাকতে হবে কারণ যারা সরকারের কাজে ব্যঘাত সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে তারা যাতে সফল হতে না পারে।

 

তিনি আরো বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ১০ কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছে এটা জঙ্গল সলিমপুরের জন্য অনেক বড় অগ্রগতি। এখানে দুটো প্ল্যান রয়েছে তার মধ্যে প্রথমটি হল কিভাবে সন্ত্রাসীদের ধরতে হবে আরেকটা হল সেখানে যাতে অবৈধ স্থাপনার পুননির্মাণ না হয় এবং পাকা ফ্ল্যাট পাওয়ার বিষয়ে সেখানের মানুষকে আশ্বস্ত করা।

 

মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সকলকে সমন্বিতভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে হবে। সেখানকার জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে সরেজমিনে দেখে আসা উচিত পাহাড় কাটা হচ্ছে কিনা বা অবধৈভাবে আবার ঘর নির্মাণ হচ্ছে কিনা এবং এসব হলে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

 

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জেরর ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ প্রমূখ। এসময় চট্টগ্রামের জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


- মা.ফা

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Video