চট্টগ্রাম সংবাদ ডেস্ক
: ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতির
শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনবাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার
কারণে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার পেয়েছি। যুদ্ধ বিধ্বস্ত পোড়ামাটির বাংলাদেশকে
বঙ্গবন্ধু সাড়ে ৩ বছরে যে অবস্থানে দাঁড় করিয়েছেন তা ইতিহাসে নজির। জাতির পিতার
সাথে সংসদ সদস্য ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম কফিল উদ্দিন। সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর
সাথে একসাথে কাজ করেছিলেন কফিল উদ্দিনরা। সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.
কফিল উদ্দিন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম
শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক
আজিজুর রহমান আজিজ।
১৩ অগাস্ট শনিবার
সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর ডিসি রোডস্থ কফিল উদ্দিন চত্ত্বরে আয়োজিত শোক দিবসের এ আলোচনা
সভায় সভাপতিত্ব করেন কফিল উদ্দিন ফাউন্ডেশনের পরিচালক সাহেদ মুরাদ সাকু। মুক্তিযোদ্ধা
সংসদ সন্তান কমান্ড মহানগর কমিটির সদস্য সৈয়দ মো. মঈনুল আলম সৌরভের সঞ্চালনায়
এতে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান
কমান্ড মহানগর সদস্য-সচিব কাজী মুহাম্মদ রাজিশ ইমরান।
প্রধান অতিথি আজিজুর
রহমান আজিজ আরো বলেন, খুনি জিয়া-মোস্তাকসহ ৭১’এ যারা বাংলাদেশের
স্বাধীনতা বিরোধী ও পরাজিত শক্তি তারাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে
হত্যা করেছে। শুধু রাষ্ট্র ক্ষমতার জন্য নয়, সমগ্র বাঙ্গালীর স্বপ্ন ও স্বাধীনতা
নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তারা। যারা এ ঘটনার নেপথ্যে ছিল
কিংবা মদদ দিয়েছে তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান
বক্তা ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে
সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায় যুক্ত
হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে
যেত। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তা হতে দেয়নি। যারা স্বাধীনতা বিরোধী ও বঙ্গবন্ধুকে
সপরিবারের হত্যার মদদ দিয়েছে তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য
রাখেন বাকলিয়া থানা আওয়ামীলীগ নেতা সিরাজুদ্দৌলা দৌলত, সাইফুল ইসলাম, মহানগর
স্বেচ্ছাসেবকলীগের সংগঠক সাহাব উদ্দিন সাবু, হোসেন সরোয়ার্দী এলিন, বোরহান উদ্দিন
ফরহাদ, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আজাদ, যুব মহিলালীগ নেতা
নাসরিন সুলতানা, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা
নিজাম উদ্দিন আহাদ, মাইনুল কামাল, ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি মো. ফয়সাল, হালিশহর থানা
ছাত্রলীগ সদস্য ফারহান আসিফ প্রমুখ।
- মা.ফা
মন্তব্য করুন