এদেশে নারী-পুরুষের সমতা আছে বলেই দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে ও সমতার ভিত্তিতে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা গেলে জাতীয় অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত হবে। নারীরা নিজেদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারলে সহিংসতা ও  নির্যাতন থেকে  রক্ষা পাবে। জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নারী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

৮ মার্চ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত নারী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদ উল্লাহ মারূফ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের মেয়েরা ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় পুরো সমাজকে নাড়া দিয়েছে। চট্টগ্রামে মেয়েদের জন্য আলাদা কোন খেলার মাঠ নেই। তাদেরকে মাঠ দিতে না পারলে তারা খেলবে কোথায়? ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরকে খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধ করতে নির্ধারিত স্থানে খেলার মাঠ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার ১৯১টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটিতে খেলার মাঠ করার পাশাপাশি মাঠের পাশে বিনোদনের আলাদা মঞ্চ তৈরী কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম। চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট জেলা করতে চাই। এজন্য ১৫ উপজেলা থেকে ৩টি করে আইডিয়া বা ধারণা ও মহানগর থেকে ৫টি সহ মোট ৫০টি আইডিয়া নেয়া হবে। যাদের সঠিক ধারণা ও পরিকল্পনায় স্মার্ট জেলা হবে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে।  

আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক আরো বলেন, সমাজ ও দেশের উন্নয়নে নারীদের অবদান অনেক বেশি। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামেও নারীদের অনেক আত্মত্যাগ রয়েছে। নারীরা কখনো পুরুষদের প্রতিদ্বন্দ্বি নয়। প্রধানমন্ত্রী একজন সফল নারী। দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নারীরা কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে এখন সব পেশায় সর্বক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হচ্ছে। দেশে এমন কোন পেশা নেই যেখানে মেয়েরা কাজ করতে পারবে না।

আলোচনা সভার পূর্বে নারী দিবসকে কেন্দ্র করে ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য নিরসন, শেখ হাসিনার বারতা, নারী-পুরুষ সমতা’- প্রতিপাদ্য বিষয়টি নিয়ে শিশু একাডেমির মাঠে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

নারী কর্মী জান্নাতুল ফেরদাউসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাধবী বড়ুয়া এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ইপসা’র আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ফারহানা ইদ্রিছ।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি শিশু একাডেমির জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মোছলেহ উদ্দিন, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা-ইলমা’র প্রধান নির্বাহী নারী নেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এরিয়া ম্যানেজার জনি রোজারিও।

- মা.ফা.