বাংলাদেশের উদ্ভবে
এবং প্রতিটি ক্রান্তিকালে শহীদ জিয়ার ভূমিকা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। শহীদ জিয়া ওই
রিভোল্ট বলে এবং স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে নেতৃত্বহীন জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করেছিলেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী
উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন আবদুল্লাহ আল নোমান।
২৯ মে সোমবার
বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর নাসিমান ভবন চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গোলাম
আকবর খোন্দকার।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালে সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানের সময়েও বিশৃংখল সেনাবাহিনী ও দেশকে শৃঙ্খলা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। আজকেও এই সরকার দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে, দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে, গনতন্ত্র নেই, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সহ লক্ষ লক্ষ নেতা জেলহাজতে। শহীদ জিয়ার স্বপ্নপূরণ করার লক্ষ্যে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে গনতান্ত্রিক অধিকার আদায় করতে হবে ।
প্রধান আলোচক
মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, শহীদ জিয়া এক অনন্য সাধারণ নেতা ছিলেন। তার নেতৃত্বে
কাজ করতে পেরে আমরা ধন্য। তার আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে
গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের ব্যর্থতার কারণে দেশ নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ায়
সেদিনে মেজর জিয়া বাধ্য হয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আজকে তিনি নেই। কিন্তু
তার প্রতিষ্ঠিত বিএনপি আছে। এই বিএনপি'র নেতৃত্বে আমরা গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার করবই।
বিশেষ আলোচক এসএম
ফজলুল হক বলেন, তিনি একটি আধুনিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তাকে
ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। বিশেষ আলোচক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ফ্যাসিবাদের
পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না।
কাজী সালাউদ্দিনের
সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন এএম নাজিম উদ্দিন, ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন,
উদয় কুসুম বড়ুয়া, আবু সুফিয়ান, নুরুল আমিন, নুর মোহাম্মদ ও আরো বক্তব্য রাখেন যুগ্ম
আহ্বায়ক এম এ হালিম,
অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, আলহাজ্ব ছালাহউদ্দিন, সরোয়ার আলমগীর, এসকে খোদা তোতন, আব্দুল মান্নান, কর্নেল আজিম উল্লাহ বাহার, এড. আবু তাহের, আব্দুল আউয়াল চৌধুরী প্রমুখ।
- ই.হো.
মন্তব্য করুন