বাংলাদেশ আওয়ামী
লীগ রাজপথের দল। দিয়াশলাইয়ের কাঠিতে যেমন খোঁচা দিলে জ্বলে ওঠে তেমনি আমাদের নেতাকর্মীদের
একটা গুণ হল খোঁচা দিলে জ্বলে উঠে। তারা আমাদের খোঁচা দিয়েছে, আমরা জ্বলে উঠেছি।
আমরা রাজপথে নেমেছি। আগামী নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনা ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা
আর ঘরে ফিরে যাবে না। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
৪ ফেব্রুয়ারি
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লা মোড়ে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে মহানগর আওয়ামী
লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
ড. হাছান মাহমুদ
আরো বলেন, দুনিয়ার কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাই, আছে শুধু একমাত্র পাকিস্তানে। বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে অনুকরণ করে না, পাকিস্তান এখন বাংলাদেশকে অনুকরণ করে। বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক
সরকার হবে না। সমস্ত সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যেই সরকার ক্ষমতায় থাকে তারা নির্বাচনকালীন
সময়ে দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও নির্বাচনকালীন সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর
দায়িত্বে থাকবেন, তার সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। আর নির্বাচন
হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।
বিএনপি এখন একটু
লাইনে এসেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জেলে যাবার আগে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস
সাহেবরা বক্তৃতা করেছেন সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিব। আওয়ামী লীগের ভিত বহু গভীরে
প্রোথিত, আওয়ামী লীগকে কেউ ধাক্কা দিলে সে নিজে পড়ে যায়। সুতরাং তারা ধাক্কা দিতে গিয়ে
কোমর ভেঙে পড়ে গেছেন। এখন তারা বলছেন, আমরা কাউকে আর ধাক্কা দিতে চাই না। আমরা নির্বাচনের
মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করতে চাই।
তিনি বলেন, আসুন,
আপনারা নির্বাচনে আসুন। আপনারা নির্বাচনকে বয়কট করবেন, নির্বাচনকে ভয় পাবেন, আপনাদের
নির্বাচনের ট্রেনে তোলার দায়িত্ব আমাদের নয়। তারা চায় এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা,
যেই ব্যবস্থা তাদেরকে ক্ষমতায় বসানো নিশ্চিত করবে। সেই ধরণের নির্বাচন বাংলাদেশে হবে
না। বাংলাদেশে হবে অবাধ সুষ্ঠু স্বচ্ছ ও নিরেপক্ষ নির্বাচন।
মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আলহাজ নঈম উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা আলহাজ শফর আলী, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ প্রমুখ।
- মা.ফা.
মন্তব্য করুন