সংবিধান থেকে আওয়ামী লীগ এক চুলও নড়বে না। বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কথা ভুলে যেতে হবে। ওই সরকার আর ক্ষমতায় আসবে না। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি সমাবেশে’ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একথা বলেন।

১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুলের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ হলে আয়োজিত সমাবেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কথা ভুলে যাওয়ার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশে বিএনপি’র পদযাত্রা কর্মসূচির সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয়, সারা বছরই রাজপথে থাকবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ভয় পায় না। তাই জনগণকে রক্ষায় রাজপথ আমরা পাহারা দেব।

সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, রাজপথে কাউকে নামতে দেব না, এটা তো আমরা বলি না। কারণ রাস্তা সবার। আমরা জনগণের স্বার্থে রাজপথে পাহারাদার হিসেবে আছি। জনগণকে রক্ষার জন্য আমরা রাজপথ পাহারা দেব। তারা (বিএনপি) সাম্প্রদায়িক শক্তির বন্ধু। তাদের ক্ষমতায় বসার অধিকার নেই। তারা আগের মতো অগ্নি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পরিকল্পনা করছে।

সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, যদি ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চান, তবে নির্বাচনে অংশ নিন। আর কখনও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জনগণের ভোটচুরি করতে দেয়া হবে না। আর কোনোভাবেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার এদেশে ফিরে আসবে না।

সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, যে বাংলাদেশ একসময় ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল, সেই দেশকে উন্নয়ন আর অগ্রগতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আওয়ামী লীগের শাসনামলে। কিছু রাজনৈতিক দল উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে রাস্তায় নেমে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড ছাড়া তারা আর কিছু করতে জানে না। তাই জনগন কোনো পাগল এবং শিশুর হাতে দেশের দায়িত্ব দিতে পারে না।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

- মা.ফা.