চট্টগ্রাম সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
চট্টগ্রাম সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

পরিবেশ

এ বছর বাংলাদেশসহ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মোট ১৯৩টি সদস্য দেশ ও অঞ্চলে একযোগে বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালিত হচ্ছে।

বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : শনিবার, ২০২৩ মার্চ ২৫, ০৩:২৭ অপরাহ্ন
বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম আবহাওয়া ও ভূ-প্রাকৃতিক কেন্দ্র কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

এক সময় মানুষ পশুপাখির আচরণ দেখে আবহাওয়া সম্পর্কে ধারণা নিতো। কিন্তু এখন বিপদজনক আবহাওয়ার পূর্বাভাস আমরা আগে থেকেই পেয়ে যাই। কারণ প্রযুক্তিগতভাবে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। এখন একজন পাইলট বা নাবিক আবহাওয়া পরিস্থিতি জেনে যাত্রা শুরু করে। ঠিক তেমনি একজন কৃষকও শিলাবৃষ্টি, বন্যা কিংবা ঘূর্ণিঝড় থেকে মাঠের ফসল রক্ষায় আবহাওয়া পরিস্থিতি জানতে চায়। সুতরাং আমরা সচেতন হলে সভ্যতা ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এমনটাই বলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী।

 

২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম আবহাওয়া ও ভূ-প্রাকৃতিক কেন্দ্র কর্তৃক আগ্রাবাদস্থ সরকারি কার্যভবন ২ এর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মেয়র প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উপলক্ষে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মব্যাপী আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানির প্রভাব এ প্রতিপাদ্য নিয়ে চট্টগ্রাম আবহাওয়া ও ভূ-প্রাকৃতিক কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও পূর্বাভাস বিষয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

 

এসময় মেয়র আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া ও জলবায়ু প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে অতীতে অনেক জাতি ও সভ্যতা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিকম্পের মতন দূর্যোগের পূর্বাভাস কম সময়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আরো বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

চট্টগ্রাম আবহাওয়া ও ভূ-প্রাকৃতিক কেন্দ্রের উপপরিচালক ড. মো. ছাদেকুল আলমের সভাপতিত্বে আবহাওয়া ও ভূ-প্রাকৃতিক কেন্দ্র চট্টগ্রাম-এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম , কৃষিবিদ নাসির উদ্দীন, সহকারী আবহাওয়াবিদ সুস্মিতা বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 

উল্লেখ্য, এ বছর বাংলাদেশসহ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মোট ১৯৩টি সদস্য দেশ ও অঞ্চলে একযোগে বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালিত হচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে ৬১টি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার, ১৯টি কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার হতে দিবা ২ ঘন্টা পর্যবেক্ষণ গ্রহণ করা হচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও অধিক দক্ষতার সাথে আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানি সম্পর্কিত দুর্যোগের পূর্বাভাস প্রদান করছে, যা দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নকে বেগবান করছে।


- ই.হো.

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Video