চট্টগ্রাম রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
চট্টগ্রাম রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

জাতীয়

বাংলাদেশেই আঘাত হানতে যাচ্ছে সিত্রাং: ৬ ও ৭ নং বিপদ সঙ্কেত


প্রকাশিত : সোমবার, ২০২২ অক্টোবর ২৪, ১১:১০ পূর্বাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর সর্বশেষ অবস্থান।

আবহাওয়া বিভাগ বলছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশে। সিত্রাং নামের এই ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মঙ্গলবার ভোর নাগাদ বাংলাদেশের খেপুপাড়া অঞ্চল দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করবে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়া কর্মকর্তারা।

এরই মধ্যে বাংলাদেশের মংলা ও পায়রা বন্দরে সতর্ক সঙ্কেত বাড়িয়ে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৬ নম্বর করা হয়েছে।

এটি যে বাংলাদেশ দিয়েই অতিক্রম করবে এটা নিশ্চিত, কারণ এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ বাংলাদেশের উপকূলে চলে এসেছে। তবে এটি সুপার সাইক্লোন হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন।

তবে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুর রহমান গতকাল রোববার বলেছেন, এটি সুপার সাইক্লোন হতে পারে। তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত হানলে দেশের উপকূলের কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর পর্যন্ত ৭৩০ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ এলাকায় এর প্রভাব পড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, সিত্রাং এখন একটি সাইক্লোনিক স্টর্ম অবস্থায় আছে, এবং মঙ্গলবার ভোরবেলার দিকে এটা সেভিয়ার সাইক্লোন বা তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকার সাগর এখন উত্তাল রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা এবং ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে, সেই সাথে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিও হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Video