পরের মাস অক্টোবর থেকে দেশে ই-নামজারির
অর্থ আর হাতে হাতে অর্থাৎ নগদে গ্রহণ করা হবে না। গতকাল বুধবার রাজধানীর সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের
সভায় ভূমি ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন বিষয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ভূমি সচিব মো.
মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, “আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের পর নামজারি অনুমোদন পরবর্তী রেকর্ড সংশোধন ও খতিয়ান সরবরাহ
ফি আর ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে (ক্যাশে) দেওয়া যাবে না। এই সম্পর্কিত একটি পরিপত্র আমরা
ইতোমধ্যে জারি করেছি।”
স্মর্তব্য, ভূমি সচিব স্বাক্ষরিত
এই পরিপত্রটি গত ৬ সেপ্টেম্বর জারি করা হয়।
মানুষের ভোগান্তি লাঘবে এ পদক্ষেপ
নেওয়ার কথা জানিয়ে সচিব বলেন, মানুষের ভোগান্তি লাঘব এবং জটিলতা এড়ানোর জন্য ই-নামজারি
আবেদন ও নোটিস ফি’র মতো নামজারি
অনুমোদনের পর রেকর্ড সংশোধন ও খতিয়ান সরবরাহ ফিও অনলাইনে গ্রহণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
চার ধরনের ফি দেওয়ার মাধ্যমে নামজারির
জন্য মোট খরচ ১,১৭০ টাকা। সচিব বলেন, “আমরা চাইছি,
নামজারির জন্য কারো যেন কোনোভাবেই ১,১৭০ টাকার বেশি অর্থ খরচ না হয়, তা নিশ্চিত করতে।
ডিসিআর ও খতিয়ানের কোনো ত্রুটি সংশোধনের জন্য কোনো ফি নেব না।”
এখন ই-নামজারির আবেদন করার সময়
অনলাইনে দিতে হচ্ছে আবেদন ফি (কোর্ট ফি) ২০ টাকা ও নোটিশ ফি (নোটিশ জারি ফি) ৫০ টাকা।
তবে রেকর্ড সংশোধন ফি একহাজার টাকা ও খতিয়ান সরবরাহ ফি একশ টাকা অনলাইনে ও নগদে দুই
ভাবেই নেওয়া হচ্ছে। আগামী মাসে তা বন্ধ করে দেয়া হবে।
পরিপত্রে বলা হয়, নামজারি অনুমোদনের
পর রেকর্ড সংশোধন বাবদ ১,০০০ টাকা ও খতিয়ান সরবরাহ বাবদ ১০০ টাকা, মোট ১,১০০ টাকা অনলাইনে
ও সরাসরি ক্যাশের মাধ্যমে গ্রহণ করায় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ জটিলতা সমাধানের
লক্ষ্যে ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে রেকর্ড সংশোধন এবং খতিয়ান সরবরাহ ফি বাবদ মোট ১,১০০ টাকা
শুধুমাত্র অনলাইনেই নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পরিপত্রে আরো বলা হয়, ডিসিআর ও খতিয়ানের কোনো ত্রুটি সংশোধনে কোনো ফি আর নেওয়া হবে না। ভূমি মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী, তথ্য বা প্রার্থিত দলিলাদি না পাওয়ায় না-মঞ্জুরকৃত কোনো নামজারি আবেদন আবার চালু হলে, ওই আবেদন মঞ্জুরের পর রেকর্ড সংশোধন ও খতিয়ান সরবরাহ ফি বাবদ মোট ১,১০০ টাকা প্রযোজ্য হবে।
মন্তব্য করুন