চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন। এতে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৬৬ শতাংশে। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, নগরীর ৮টি ল্যাবে গতকাল ৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে সনাক্ত হয় ১৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে শহরের ১১ জন ও চার উপজেলার ৬ জন। উপজেলার ৬ জনের মধ্যে হাটহাজারী ও কর্ণফুলী উপজেলার ২ জন এবং সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার একজন।
এনিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৩৬১ জন। সংক্রমিত ব্যাক্তিদের মধ্যে ৯৪ হাজার ৩২৪ জন শহরের ও ৩৫ হাজার ৩৭ জন গ্রামের বাসিন্দা। করোনায় মৃতের মোট সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জন। এতে শহরের ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবরেটরিতে ২২ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩ জন ও গ্রামের ৪ জন করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের একজনের করোনা পজিটিভ রির্পোট আসে। এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় কোন করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২ জন করোনা পজিটিভ। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের একজন করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় সবগুলোরই পজিটিভ রেজাল্ট আসে। এখানে শহরের ৩ জন ও গ্রামের একজন।
এছাড়া, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৫ ও আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ১ জনের নমুনা পরীক্ষায় কোন করোনা সনাক্ত হয়নি। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও ল্যাব এইডে কোনো করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রে কারো এন্টিজেন টেস্ট করা যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, চমেকহা’য় ৩১.৮২ শতাংশ, মেডিকেল সেন্টারে ২০, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৪.২৮, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২২.২২, এশিয়ান স্পেশলাইজড হাসপাতালে ৬.৬৬ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে শতভাগ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ও আরটিআরএলে ০ শতাংশ।
- মা.ফা
মন্তব্য করুন