ইউক্রেন যুদ্ধ ও সেখানকার শরণার্থীরা বাংলাদেশের রোহিঙ্গা
সংকট থেকে মনোযোগ সরিয়ে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, পুরো দৃষ্টি এখন যুদ্ধ এবং
ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীদের দিকে। যা পরিস্থিতিকে আরো কঠিন করে তুলেছে।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি এবং সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের
ভবিষ্যৎসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সাথে স্বাক্ষাৎকালে
একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৮ মার্চ কাতারের দোহায় স্বল্পোন্নত দেশসমূহের ৫ম জাতিসংঘ
সম্মেলনের (এলডিসি ৫) ফাঁকে আল জাজিরার সাংবাদিক নিক ক্লার্কের সাথে সাক্ষাৎকালে
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে মিয়ানমারে নিপীড়ন, হত্যা ও ধর্ষণের
শিকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। তবে ঢাকা সমস্যা সমাধানে আলোচনায় নিয়োজিত থাকলেও
মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ইতিবাচক নয়।
প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লার্ক কে বলেন, ‘মিয়ানমারে যখন রোহিঙ্গা
নিপীড়ন শুরু হয়, রোহিঙ্গারা নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের শিকার হয় তখন আমরা তাদের
জন্য দুঃখ অনুভব করেছি। এরপর আমরা সীমান্ত খুলে দিয়েছি, আমরা তাদের আসতে দিয়েছি।
এছাড়াও, আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের সকলের জন্য আশ্রয় ও চিকিৎসা দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘পাশাপাশি আমরা মিয়ানমারের
সঙ্গেও কথা বলতে শুরু করি। আমরা তাদের বলি, আপনারা রোহিঙ্গাদেরকে ফিরিয়ে নিন।
দুর্ভাগ্যক্রমে তারা ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের
ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু এটা সত্যিই খুব কঠিন। আমরা তাদের থাকার জন্য আলাদা
জায়গায় ব্যবস্থা করেছি।
রোহিঙ্গা শিবিরের জীবনযাত্রার পরিস্থিতি এবং আগুনে ১২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গার আশ্রয় হারানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। রোহিঙ্গারা একে অপরের সাথে লড়াইরত। তারা মাদক, অস্ত্র ও মানব পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িত। তারা নিজেদের মধ্যে সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে।
- মা.ফা.
মন্তব্য করুন