কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্প বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল দক্ষিণ এশিয়ার নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন প্রথম টানেল। ২০২২ সালে ডিসেম্বরের মধ্যে এই টানেল যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
৩১ আগস্ট বুধবার অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আয়োজিত ভার্চুয়ালি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় টানেল সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
আলোচনা সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো.আব্দুল বারিক টানেল প্রস্তাবের বিস্তারিত তুলে ধরে সাংবাদিকদের জানান, আজকের ক্রয় কমিটিতে টেবিলে উত্থাপিত প্রস্তাবসহ মোট ১৫টি প্রস্তাব উপস্থাপিত হলে সবগুলো প্রস্তাবই অনুমোদন দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত সচিব আরও জানান,চায়না কোম্পানি কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। টানেল রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের কত টাকা করে টোল আদায় হবে সে বিষয়ে এখনো কিছু বলা হয়নি। টানেল রক্ষণাবেক্ষণের উল্লেখযোগ্য কাজ গুলো হলোটানেল মেইনটেন্যান্স,ব্রিজ/ভাইয়াডাক্ট মেইনটেন্যান্স, উভয় পাশের অ্যাপ্রোচ রোড মেইনটেন্যান্স, ইনস্টল অ্যান্ড মেইনটেনিং টানেল হেলথ মনিটরিং সিস্টেম, পেট্রল অ্যান্ড রেসকিউ, অটোমেটিক ওয়েস্কেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টোল কালেকশন, ইন্টিলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেম (আইটিএস) সার্ভিল্যান্স সিস্টেম, টানেল ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড ড্রেইনেজ সিস্টেম, টানেল ফায়ার রেসকিউ সিস্টেম, টানেল এয়ার ভেন্টিলেশন অ্যান্ড লাইটিং সিস্টেম অ্যান্ড লাইটিং সিস্টেম প্রভৃতি।
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানান, ৩.৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেল চালু হলে চট্টগ্রাম যানজট নিরসন এবং ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ আরও উন্নত হবে। তাছাড়া এটি এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে পণ্য পরিবহন সহজ হবে। এই টানেল জাতীয় জিডিপি প্রবৃদ্ধির বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
- মা.সো
মন্তব্য করুন