প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের নয়া প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং ইতালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী
জর্জিয়া মেলোনিকে পাঠানো পৃথক দুটি চিঠিতে তাঁদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে শেখ হাসিনা বলেন, “গ্রেট
ব্রিটেনের যুক্তরাজ্য ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হওয়ায়
আপনাকে আমি বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।”
তিনি
বলেন, “দক্ষিণ
এশীয় ঐতিহ্যের একজন তরুণ ব্রিটনের এই শীর্ষ নেতৃত্বের অবস্থানে আপনার পরিচয় এবং গতিশীলতা
দেখে আমি আনন্দিত।”
তিনি
আরো বলেন, “আমি কামনা করি, ব্রিটিশ জনগণের সেবা এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রচারে
আপনার দূরদর্শী নেতৃত্ব আপনার শ্রেষ্ঠত্বকে প্রমাণ করবে।”
শেখ
হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে, যা আমাদের
গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সহনশীলতার মূল্যবোধের গভীরে নিহিত।”
তিনি
আরো বলেন, “সময়ের সাথে সাথে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং টেকসই উন্নয়নে আমাদের দৃঢ়
সহযোগিতা শক্তি থেকে শক্তিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। সবকিছুর উপরে,
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ প্রবাসীরা দুদেশের উন্নয়নে আরো প্রাণবন্ত হয়ে সাধারণ
সম্পদ হিসেবে কাজ করছে।”
প্রধানমন্ত্রী
জোর দিয়ে বলেন, “এবছর আমরা কমনওয়েলথভুক্ত দুটি দেশ আমাদের মধ্যকার বন্ধুত্বের ৫০
বছর উদযাপন করছি। আমাদের দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বকে
আরো শক্তিশালী করার জন্য আপনার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য আমি উন্মুখ হয়ে আছি।”
তিনি
ঋষি সুনাকের স্বাস্থ্য, সুখ ও সাফল্য এবং তাঁর উচ্চদায়িত্বে যুক্তরাজ্যের জনগণের শান্তি,
অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা আরেকটি চিঠিতে ইতালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিকে অভিনন্দন
জানিয়েছেন।
মেলোনিকে
লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেন, “ইতালির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় আমি বাংলাদেশের জনগণ
ও সরকার এবং পক্ষ থেকে আপনাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাতে পেরে ভীষণ আনন্দিত।”
জর্জিয়া
মেলোনির দূরদর্শী নেতৃত্বের পক্ষে ঐতিহাসিক রায় দিয়ে তাঁকে ইতালির ইতিহাসে প্রথম নারী
নেতা হিসাবে নির্বাচিত করায় শেখ হাসিনা বন্ধুপ্রতীম ইতালির জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন
জানান।
শেখ
হাসিনা লেখেন, “আমি নিশ্চিত যে, সমস্ত প্রতিকূলতা ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও
আপনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের অধীনে ইতালি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির বৃহত্তর পথ খুঁজে পাবে।”
তিনি
বলেন, “স্বাধীনতার
পর থেকে বাংলাদেশ ও ইতালি একটি চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উপভোগ করছে। আমাদের সম্পর্ক
অনেক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে বিভিন্নভাবে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, বাণিজ্য,
বিনিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক উদ্বেগের বিষয়গুলোতে সাধারণ অবস্থানের উপর দৃষ্টি রেখে।”
প্রধানমন্ত্রী
বলেন, “আমরা
কৃষি, আইসিটি, বেসামরিক বিমান চলাচল এবং উৎপাদন শিল্পের মতো অন্যান্য সম্ভাব্য খাতে
বিদ্যমান সম্পর্ককে আরো বিস্তৃত ও শক্তিশালী করতে আগ্রহী।”
তিনি
আরো বলেন, “যেহেতু আমরা কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি,
আমি বিশ্বাস করি, সহযোগিতার পুরো ধারাকে পুনরুজ্জীবিত করার সময় এসেছে। এই বিষয়ে আমি
আপনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ।”
শেখ
হাসিনা মেলোনিকে তাঁর সুবিধামত বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
তিনি জর্জিয়া মেলোনির সুস্বাস্থ্য ও সুখ এবং বন্ধুপ্রতীম ইতালির জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করেন।
মন্তব্য করুন