‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা
যুদ্ধে মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম. কেনেডি সিনিয়রের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ (মরনোত্তর) ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন
ওয়ার অনার’ পদক তাঁর যোগ্যপুত্র এডওয়ার্ড এম টেড কেনেডি জুনিয়রের
হাতে তুলে দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত’ বলে জানান প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা।
৩১ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ক্রিস্টাল বলরুমে এ উপলক্ষে আয়োজিত নৈশভোজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এডওয়ার্ড এম কেনেডি সিনিয়রের বাংলাদেশ সফর আমাদের জনগণকে যেভাবে উৎসাহিত করেছিল আজকে আপনাদের সফরও আমাদেরকে সেভাবে উৎসাহিত করেছে।’ এর আগে রোববার সকালে কেনেডি জুনিয়র, তার পত্নী ক্যাথরিন কেনেডি, মেয়ে কাইলি কেনেডি এবং ছেলে টেডি কেনেডি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা
অর্জন করেছি। তিনি বাংলাদেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে
পড়ে দেশকে স্বাধীন করার জন্য। জাতির পিতার ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ ‘যার যা কিছু আছে
তাই নিয়ে শক্রুর মোকাবিলা করতে হবে,’ - বাঙালি তাই
করেছিল। নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানীদের অত্যাচারে প্রায় ১ কোটির ওপর শরণার্থী
ভারতে আশ্রয় নেয়। সেই রিফিউজি ক্যাম্পে অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন যখন তারা করতো তখন
ছুটে এসেছিলেন টেড কেনেডি। তিনি ছুটে এসেছিলেন বাঙালির কাছে। ঐ রিফিউজি ক্যাম্পগুলো
তিনি ঘুরে ঘুরে দেখেছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন,
কেনেডি সিনিয়র মানুষের দুঃখ, কষ্ট উপলদ্ধি করেছিলেন। তখনই তিনি পদক্ষেপ নেন এবং সিনেটে
(মার্কিন) এ বিষয়ে তিনি কথা তোলেন এবং আমেরিকা যে পাকিস্তানীদের পক্ষ নিয়েছে, অস্ত্র
দিচ্ছে বা অর্থ দিচ্ছে তার বিরোধিতা করেন এবং তিনি দ্বার্থহীন কন্ঠে বলেন, মুক্তিকামী
বাঙালিদের পাশে আমেরিকার থাকা উচিত। তাদের মানবাধিকারের জন্য থাকা উচিত। যেটা আমাদের
মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক বেশি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। অনেক বেশি সাহস যুগিয়েছিল।
তিনি বলেন, আমেরিকা সরকারের কিছু অংশ হয়তো আমাদের সমর্থন করেনি কিন্তু অধিকাংশ আমাদের বাঙালিদের সমর্থন করে এবং জনগণ আমাদের সমর্থন করেন। কাজেই আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর সেই ২০০৯ সাল থেকে যারা আমাদের বন্ধুপ্রতীম বিদেশি তাদেরকে আমরা সম্মান জানানোর চেষ্ট করেছি। তখন সুযোগ না হওয়ায় এখন কেনেডি জুনিয়র এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের পেয়ে (তাঁর আমন্ত্রণ গ্রহণ করে আসায়) প্রধানমন্ত্রী তাঁর মাধ্যমে সিনিয়র কেনেডিকে সম্মাননা জানাতে পেরে নিজেও গর্ব অনুভব করেন।
- ই.হো
মন্তব্য করুন