ভোজ্যতেল মজুরদের বিরুদ্ধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চলমান অভিযান ব্যবসায়ী-গোষ্ঠী বা অন্য কাউকে হয়রানির উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে না। আমাদের মটো হলো- 'আমরা কাউকে হয়রানি করতে চাই না'। আমরা সবার কাছে এ বার্তা পৌঁছে দিতে চাই যে, সরকার ভোজ্যতেল মজুদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে যাতে বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় থাকে।
গত ১৬ মে সোমবার ঢাকার ইস্কাটনে প্রতিযোগিতা কমিশন কার্যালয়ের কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনার 'ব্যবসা-বাণিজ্যে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিতকরণে ব্যবসায়ী সংগঠনসমূহের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি আরো বলেন, গত ঈদুল ফিতরের সময় খুচরা ও ডিলার পর্যায়ের অনেক ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে অধিক মুনাফার লাভের আশায় অবৈধভাবে ভোজ্যতেল মজুদ শুরু করে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। ঈদের পরবর্তীতে গত দুসপ্তাহে অভিযানের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ তেল উদ্ধার হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চলমান অভিযানকে উল্লেখ করে বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের বাজারে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করা। অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন মনোপলি বা অলিগোপলির সুযোগ নিতে না পারে। তাই প্রতিযোগিতা আইন সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রতিযোগিতা আইন সম্পর্কে দেশবাসীকে সচেতন করতে হবে এবং উৎপাদক, বিপণনকারী, ভোক্তা থেকে শুরু করে সর্বত্র সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করে দিতে সরকার এই আইন করেছে।
একই সাথে দেশের জনগণ প্রতিযোগিতা আইন দ্বারা কিভাবে উপকৃত হবে সে বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে প্রতিযোগিতা কমিশনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন মো. মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য জি. এম. সালেহ উদ্দিন এবং বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির ফেডারেশনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান প্রমুখ।
- সূত্র বাসস
- মা ফা